পশ্চিমবঙ্গ বোমা তৈরির কারখানায় পরিণত, ট্যুইট-তোপ রাজ্যপালের
নিজস্ব সংবাদদাতা : ফের রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধ তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার অভিযোগ তুলে বললেন, পশ্চিমবঙ্গ বেআইনি বোমা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে।
যা কিছুই ঘটুক না কেন;
In service of WBNIA busts Al-Qaeda module in Murshidabad, WB.
DGP on this alarming affairs @MamataOfficial to me
“West Bengal police firmly adheres to the path laid down by law. There is no discrimination for or against anyone in an extra legal sense” pic.twitter.com/7DCqPyCaz9— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 19, 2020
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এনআইএ-র জালে পাকড়াও ৬ জন আল কায়দা জঙ্গি। এ খবর পাওয়ার পরই পরপর ৩টি ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। প্রথম ট্যুইটে ধনকর বলেন, “রাজ্য বেআইনি বোমা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই ব্যস্ত। বিরোধীদের স্বর থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে তার দায় পুলিশ-প্রশাসনকে নিতেই হবে।”
দ্বিতীয় ট্যুইটে রাজ্যপাল পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে লক্ষ্য করে বলেন, রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে অনেক দূরে রয়েছেন ডিজিপি। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ যা কাজ করছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয় কিন্তু তারাই যখন রাজনৈতিকভাবে নির্দেশিত হন সেটা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।”
How far distanced is DGP @WBPolice from reality is cause of worry. His ‘Ostrich Stance’ is very disturbing.
Appreciate role of policemen in general-they r working in difficult situations. Problem is with those at helm who r unmindful of conduct and r politically guided.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 19, 2020
তৃতীয় ট্যুইটে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে ডিজিপির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, আইনের পথেই রাজ্যে পুলিশ কাজ করছে। কারও সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে না। বেআইনিভাবে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে না।”
এদিকে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনল এনআইএ। ইউএপি আইনের ১৬, ১৭, ১৮, ১৮(বি) এবং ২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ধৃত ৬ জনের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার বিশেষ আদালত। তদন্তের স্বার্থে ৬জনকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ।
Comments are closed.