অগস্টের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ লকডাউনে ব্যাপক সাড়া, কড়া পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা : অগস্টের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ লকডাউনে ব্যাপক সাড়া রাজ্যজুড়ে। এদিনও কড়া হাতেই নিয়ন্ত্রণ লকডাউন কার্যকর করতে দেখা গিয়েছে কলতাকা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং পুলিশের। চলছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি।
সকাল ৮টাতে ধর্মতলার চিত্র পুরো শুনশান। শহরে জরুরি প্রয়োজনে বা অসুস্থ কাউকে নিয়ে রাস্তায় বেরোলে তৎক্ষণাৎ মিলছে পুলিশের সহায়তা। সল্টলেক, বাগুইআটি, এয়ারপোর্ট এলাকা কার্যত শুনশান। নিউটাউনের নবাবপুরে লটারির দোকান খোলা হলে দোকানদারকে আটক করা হয়েছে। যাদবপুর, হাজরা, ভবানীপুর, টালিগঞ্জেও সকালের দিকে কিছু মানুষ বেরলেও বেলা বাড়ার পরপরই কার্যত শুনশান।
লকডাউনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে পুরুলিয়ায়। ঝালদা, রঘুনাথপুর, মানবাজার, বলরামপুর সমস্ত এলাকায় মানুষ ঘরবন্দি। জেলা শহর মালদায় লকডাউন অমান্য করায় ও মাস্ক না পরায় কান ধরে অভিযুক্তদের ওঠবোস করাল পুলিশ। এরই পাশাপাশি দমদমের নাগেরবাজারে লকডাউন অমান্য করে স্কুটি নিয়ে বেরনো একজনকে আটকে ওঠবোস করানো হয়েছে। দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমানেও লকডাউনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা, মছলন্দপুর, হাবড়ায় লকডাউনের নিয়ম ভাঙায় মানুষজনকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। দক্ষিণ ২৪পরগনার গড়িয়া, সোনারপুর, বাঁশদ্রোণী এলাকাও কার্যত জনমানবহীন।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো লকডাউন সফল করতে কড়া হাওড়া জেলাপ্রশাসন। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখছেন পুলিশ। ওষুধ ও প্যাথোলজিক্যাল ল্যাব, দুধের দোকান ছাড়া বন্ধ সব দোকানপাট। যদিও প্রশাসনের নির্দেশ সঠিক ভাবে পালন করতে দুধ ও দৈনিক খবরের কাগজ লকডাউন শুরুর আগেই ভোর ৬টায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে সমস্ত রাস্তাঘাট। বাড়ির বাইরে কাউকে দেখলেই বেরোনোর কারণ জানতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
ডোমজুড়, বাঁকড়ায় বেশ কয়েকজন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরনোয় বাড়ি পাঠিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। জগাছা থানা সূত্রে খবর, এলাকার সাধারণ মানুষ ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন লকডাউন।
Comments are closed.