করোনা আবহে দুর্গাপুজোয় ১১টি গাইডলাইন প্রকাশ নবান্নর
নিজস্ব সংবাদদাতা : নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন করোনা আবহে কীভাবে চলতি বছরের দুর্গাপুজো, তার জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করবে রাজ্য সরকার। আজ সোমবার সেই গাইডলাইন প্রকাশ করল নবান্ন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট ১১টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে গাইডলাইনে। গত ২৪ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে উদ্যোক্তাদের পুজোয় যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী রয়েছে দুর্গাপুজো গাইডলাইনে :
১. প্যান্ডেল খোলামেলা হতে হবে। বড় প্যান্ডেল করতে হবে, ঢোকা ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে। প্যান্ডেলের ভেতরে যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে, যাতে দর্শকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। ঢোকা ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে।
২. দর্শনার্থী এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ মাস্ক পরে না আসেন, তবে প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষকে মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে । একইসঙ্গে মাঝেমাঝেই মণ্ডপ এবং আশপাশের এলাকায় স্যানিটাইজ করতে হবে।
৩. প্রতিটি পুজো কমিটিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন রাখতে হবে । তাঁদের মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনতে হবে। মণ্ডপ থেকে কোনও ফুল দেওয়া হবে না। অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুর খেলার আয়োজন করতে হবে ছোট ছোট ভাগে এবং পরিকল্পনামাফিক।
৪. পুজোমণ্ডপে বা তার ধারেকাছে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৫. বেশিসংখ্যক পুজোর বিচারকদের পুজো মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে বিচারকদের কাজ সেরে ফেলতে হবে।
৬. পুজোয় ভিড় এড়ানোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বৈদ্যুতিন মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার চালাবে প্রশাসন এবং পুজো কমিটিগুলি।
৭. পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জন যতটা সম্ভব ছোট করে করতে হবে। উদ্বোধন করতে হবে যতটা সম্ভব ভার্চুয়ালি। বিসর্জনের জন্য কোন ঘাটে কখন কোন পুজোর বিসর্জন তা আগাম পরিকল্পনা করতে হবে প্রশাসনের সঙ্গে ।
৮. পুজোর সব ধরনের সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন হবে অনলাইনেই।
৯. পুজোর সময় ভিড় এড়াতে এবার তৃতীয়া থেকেই যাতে লোকজন প্রতিমা দর্শন। উদ্বোধন হতে পারে তৃতীয়াতে।
১০. এবার আর কোনও কার্নিভ্যাল হবে না।
১১. ২৪ সেপ্টেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিত একগুচ্ছ প্রস্তাব মেনে চলতে হবে যথাযথ। যেমন, এবছর পুজো কমিটিগুলিকে পরিষেবা প্রদানের জন্য দমকলকে কোনও ফি দিতে হবে না। পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও পুজো উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে। পরিষেবা প্রদানের জন্য কোনও ফি নেবে না। পুজো আয়োজনের জন্য ক্লাবগুলিকে রাজ্য সরকারের তরফে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পুলিশ ও প্রশাসন পুজো আয়োজনে উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে।
Comments are closed.