মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে বিদ্যাসাগর প্রয়াণ দিবস স্মরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা : একটু ভিন্ন ধারায় বিদ্যাসাগর স্মরণ অনুষ্ঠিত হল ‘মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা’র উদ্যোগে। অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনের উদ্যোগে লকডাউনের মাঝেই বুধবার ১৩ শ্রাবণ ও ২৯ জুলাই বাংলা ও ইংরেজি তারিখের মহা সন্ধিক্ষণে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩০ তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হল ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে l সভার শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ঈশিতা জানা ও সঞ্চয়ন জানা। স্বাগত ভাষণ দেন সল্টলেক আঞ্চলিক ইউনিটের সভাপতি পূর্ণেন্দু মাইতি। বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রণবেশ জানা, মেদিনীপুর আঞ্চলিক ইউনিটের সভাপতি মানিক চন্দ্র ঘাটা, কাঁথি আঞ্চলিক ইউনিটের সম্পাদক অধ্যাপক হৃষিকেশ পড়িয়া, কলকাতা দক্ষিণ আঞ্চলিক ইউনিটের সম্পাদক সুব্রত মাজী, সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আমিত কুমার সাহু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমলেন্দু বিকাশ মহাপাত্র, অধ্যাপক অম্লানকান্তি পান্ডা প্রমুখ। এছাড়া সভাতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতা উত্তর আঞ্চলিক ইউনিট সম্পাদক চঞ্চল সাউ , সমরেন্দ্র নাথ মাইতি, কুমকুম সামন্ত , কমল পাত্র প্রমুখ। কচিকাঁচাদের গান ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানটিকে মনোজ্ঞ করে তোলে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সল্টলেক আঞ্চলিক ইউনিটের সম্পাদক শ্যামাপদ জানা। সভায় বিদ্যাসাগরের জন্ম থেকে শুরু করে শিক্ষা , সমাজ সংস্কার ও জীবনদর্শন নিয়ে বক্তারা আলোকপাত করেন l
উল্লেখ্য ‘মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা’ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পুনরায় ‘বর্ণপরিচয়’ চালু করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিল ২০১১ সাল থেকেই। বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিবসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং সংস্থার দাবি মেনে নিয়েছেন l এছাড়া সমন্বয় সংস্থার উল্লেখযোগ্য কাজ হল স্বাধীনতার ৭১ বছর পরে কলকাতায় মেদিনীপুর ভবন গড়ে তোলা এবং ন্যূনতম খরচে বিদ্যাসাগরের নামে সর্বসাধারণের জন্যে অতিথি নিবাস চালু করা l
মেদিনীপুর, বাংলা ও ভারতের স্মরণীয়-বরণীয় মনীষীদের নিয়ে তিনটি মূল্যবান পুস্তক ইতিমধ্যে সংস্থার উদ্যোগে রচনা করা হয়েছে। মহামানব বিদ্যাসাগরকে প্রণাম জানিয়ে এদিনের সভার কাজ শেষ করা হয় l পাশাপাশি এদিন নিজের নিজের বাড়িতে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
Comments are closed.