‘একটি প্রযোজনা’র তরুণ তুর্কিদের শারদ পত্রিকা ‘সংস্থিতা’
শুভাশিস মণ্ডল
বসিরহাটের ‘একটি প্রযোজনা’ নাট্যদল প্রথম বার্ষিক শারদ পত্রিকা ‘সংস্থিতা’ প্রকাশ করল। বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯-এর মহামারী, সবকিছু যখন নিয়ম না মেনে এগিয়ে চলেছে, তখন এই তরুণ নাট্যদলের প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করার ‘ইচ্ছা’ই জানান দেয় বহুদূর যাবে এই নাট্যদলের বার্ষিক পত্রিকা। ‘সংস্থিতা’র বিষয় সম্ভার থেকে প্রকাশরীতি পাঠককে পাতা উল্টিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে একথা বলাই যায়।
তরুণ নাট্যকর্মী অভিষেক পাল এ পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন বেশ সুচারু ভাবেই। করোনা আবহে লকডাউন। আনলক ঘোষণা হলেও এখনও দিশেহারা মানুষজন। তারই মধ্যে ‘সংস্থিতা’র চিন্তাভাবনা ‘একটি প্রযোজনা’র নাট্যকর্মীরাই ভাবতে পারে। তাই তো তাদের তরফ থেকে সম্পাদকীয়তে তারা জানান দিয়েছে, ‘সংস্থিতা-র যাত্রা শুরু শুরু। যাত্রাপথের এই মহা সমুদ্রে সমষ্টিত হোক নাট্যকার-অভিনেতা-নাট্যশিল্পী-পরিচালক-দর্শকসমেত সকল নাট্যযোদ্ধারা। সকলে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়াই জন্ম দিয়েছে এক দুঃসাহসের ‘সংস্থিতা’র। যার আবির্ভাব সফল হবে যদি সত্যিই পত্রিকার সঙ্গে নাট্যসংগ্রামের পারানি ভাগ করে নিতে পারি। জীবন একদিন জিতবে, করোনা নয়। সেদিন দেখা হবে আবার, মঞ্চের আলো-আঁধারিতে। থিয়েটারের জয় হবেই।’ তবে ঝা চকচকে এই পত্রিকায় টাইটেল পেজে কোন সংখ্যা, প্রকাশকাল এবং প্রিন্টার্স লাইনে কোথা থেকে প্রকাশ হয়েছে তা লেখা থাকা উচিত পত্রিকা পরিচালনার ক্ষেত্রে। হয়তো অনভিপ্রেত ভুল হয়েছে সংগঠকদের। আশা করব আগামীতে সংশোধন করে নেওয়া হবে।
প্রথম বার্ষিক ‘সংস্থিতা’র সাফল্য কামনা করে বার্তা দিয়েছেন বসিরহাটের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই কঠিন সময়ে একটি প্রযোজনার এই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন মানুষের বেঁচে থাকার কিছুটা অক্সিজেন জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। সকলে ভালো থাকবেন, আমার শুভেচ্ছা রইল।’
‘সংস্থিতা’র জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার, নাট্যশিল্পী সোহিনী সেনগুপ্ত, বাচিকশিল্পী জগন্নাথ বসু, ঊর্মিমালা বসু, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, খেয়ালি দস্তিদার, সিধু থেকে শুরু করে সন্দীপ দে এবং দেবাশিস ঘোষ।
পরিশেষে ‘একটি প্রযোজনা’ নাট্যগোষ্ঠীর কুশীলব অভিষেক পাল, সুচরিতা বড়ুয়া চট্টোপাধ্যায়, ভাস্কর পাল, সমাপ্তি ঘোষ, চিরব্রত দাস, বনশ্রী ঘোষ-সহ এ প্রকাশনার সঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে তাঁদের কুর্নিশ। সংস্থিতা এগিয়ে চলুক। ‘সংস্থিতা’ দিশা দেখাক বাংলা থিয়েটার জগৎকে।
Comments are closed.