সিএএ সংশোধনের দাবি এনডিএ শরিক রিপাবলিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার

রূপম চট্টোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় সরকার যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করতে মরিয়া, তখন সেই সরকারের শরিক রিপাবলিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (আরপিআই) আবার নতুন করে সেই আইন সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হচ্ছে। বর্তমান সিএএ ২০১৯ আইন বাতিলের দাবি করছে বিরোধীরা। বিজেপি চাইছে ওই আইনকে ভিত্তি করে দেশজুড়ে এনআরসি করতে। আর এনডিএ শরিক কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালের দল রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া ওই আইনের সংশোধন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চান। এরজন্য দিল্লি অভিযানের আয়োজন শুরু করছে দল।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁরা আইনটি বাতিল করতে চাইছেন না কিন্তু সংশোধন করার দাবি করছেন। বতর্মান সিএএ আইনে ভারতে আসার কাট অফ ডেট করা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া দাবি তুলেছে এই আইন সংশোধন করে ওই কাট অফ ডেট ২০১৯ করতে হবে। একই সঙ্গে তারা চাইছেন, অসমে সমস্ত বাঙালির নাম এনআরসিতে নথিভুক্ত করা হোক। এছাড়া নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করার দাবিও তুলেছেন বিজেপির এই শরিক দল। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান, জমির দলিল, স্কুলের শংসাপত্র যে কোনও একটির ভিত্তিতেই নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি করেছেন আরপিআই। এছাড়া মৌলবাদীদের অত্যাচারে বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরে এসে বসবাস করছে এমন বাঙালি তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, মতুয়া উদবাস্তুদের শুধু আবেদনপত্রের ভিত্তিতেই ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি করছে আরপিআই।
এরই সঙ্গে ভারতের ভূমিপুত্রদের জল-জমি-জঙ্গল কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এই দল। ২০০৩ সালে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীতে ১৯৪৮ সালের ১৯ জুলাইকে ভিত্তি বছর করার বিরুদ্ধে ছিল আরপিআই। বর্তমান আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরকে ভিত্তির তারিখ করারও বিরুদ্ধে এই দল। এই প্রসঙ্গে সিএএ ২০১৯-কে সংশোধন না করে কার্যকর করলে দেশভাগের বলি মতুয়া, দলিত, আদিবাসী, বাঙালি জাতির সিংহভাগ মানুষ বে-নাগরিক হবেন বলে জানিয়েছেন আরপিআই-এর মুখপাত্র রাজা মুখোপাধ্যায়। আরপিআই দলের রাজ্য সভাপতি-সহ চার শীর্ষনেতা ২০১৫ সালে ৭ দিনের অনশন করেছিলেন এই দাবিতে। দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি রামদাস আটাওয়ালে এর আগে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিনিধিদের মনমোহন সিংহের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন এই দাবির সমর্থনে।
Comments are closed.