আজ বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
কোনও পূর্ব শর্ত ছাড়াই আজ দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। দিল্লি-পঞ্জাব সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের মধ্যে বেশ বড় সংখ্যায় একটা অংশের কৃষকরা নিজেদের ঘরে ফিরে গিয়েছেন গুরুপরবে যোগ দিতে, আজই ফের তাঁরা আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। আর আগের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া শর্ত খারিজ করে দেন কৃষকরা। তারপরেই দেশের রাজধানীতে ঢোকার চারটে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
গত মাসে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “আমরা ৩ ডিসেম্বর আলোচনার দিন ধার্য করেছিলাম, কিন্তু কৃষকরা আন্দোলনের মেজাজে রয়েছেন।” আগের বৈঠকে যোগ দেওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ঠান্ডা পড়েছে, সঙ্গে রয়েছে করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানি। সেই জন্য বিজ্ঞান ভবনগামী কৃষকদের আমরা বিকেল তিনটে নাগাদ আলোচনার জন্য ডেকেছি। আমরা বিক্ষোভ ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আহবান জানিয়েছি।”
গত রবিবার ঠান্ডার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় লুধিয়ানার গুজ্জন সিং নামে এক বিক্ষোভরত কৃষক। দিল্লি ঢোকার পথে টিক্রি সীমানায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তার আগে কৃষক নেতা যোগিন্দর সিং উগ্রহান এবং বুট্টা সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অমিত শাহ। তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আমন্ত্রণের অপেক্ষা করছেন বলে জানান বুট্টা সিং।
এদিকে পঞ্জাব কিষাণ সংঘর্ষ কমিটির তরফে সুখবীর এস সভ্রান বলেন, “দেশে ৫০০-এর বেশি কৃষক সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩২টি সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্র। বাকিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাদের আমন্ত্রণ না জানালে আমরা আলোচনায় যাবো না।” কৃষকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে আজ বিকেলের বৈঠক নিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকরা কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকেই নজর সব মহলের।
Comments are closed.