৫৩ হাজার আবেদনকারীর পাসপোর্ট-ভাগ্য এখন পুলিশ ভেরিফিকেশনের অপেক্ষায়

অভিষেক পাল
লকডাউনের পর পাসপোর্ট আবেদনের হার প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিষেবা পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। পুলিশি ভেরিফিকেশনের গেরোয় আটকে আছে আবেদনকারীদের ভাগ্য। প্রায় ৫৩ হাজার আবেদনকারীর পাসপোর্ট-ভাগ্য এখন পুলিশ ভেরিফিকেশনের অপেক্ষায় অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ হাজার কলকাতার, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যাটা প্রায় ৩৯ হাজার। পুলিশ ছাড়পত্র দিলে তবেই শুরু হবে পাসপোর্ট তৈরির কাজ। মার্চের শুরুতে দিনে অন্তত দেড় হাজার আবেদন জমা পড়ত। এখন খুব বেশি হলে ৪০০-৪৫০টি আবেদন জমা পড়ছে। তাও সেগুলি পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আটকে আছে।
করোনাভাইরাসের দাপটের ফলে পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সংখ্যা এখন অনেকটা কমে গিয়েছে। কলকাতা অফিসের প্রধান এবং রাজ্যের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার বলছেন, ‘আগের তুলনায় এখন আবেদনের হার প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। মার্চের শুরুতে দিনে অন্তত দেড় হাজার আবেদন জমা পড়ত। এখন খুব বেশি হলে ৪০০-৪৫০টি আবেদন জমা পড়ছে। তৎকালের ক্ষেত্রেও এক অবস্থা। আগে দিনে গড়ে দেড়শো তৎকাল-আবেদন আসত। এখন ৪০টা আসছে।’ পাসপোর্ট অফিসের ওই শীর্ষকর্তা বলছেন, ‘আবেদন এলে আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের সবুজ সংকেত পেলে তবেই পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়।’
আবেদনের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমলেও সবাই যে ঠিকমতো পাসপোর্ট পাচ্ছেন, এমনটা নয়। প্রায় ৫৩ হাজার আবেদনের পুলিশ ভেরিফিকেশনই হয়নি। পুলিশের কাজের গতি যে শ্লথ, তা স্বীকার করেছেন রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসারও। যদিও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের ঢিলেমির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ইনটেলিজেন্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
Comments are closed.