সরকারি সহায়তার দাবিতে পথে সংস্কৃতিকর্মীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা আবহে বিশ্বজোড়া মহামারী পরিস্থিতি ও দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে রুটিরুজি নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন গোটা রাজ্যের একটা বড় অংশের সংস্কৃতিকর্মীরা। সমস্যার রয়েছেন বিভিন্ন পেশার শিল্পী থেকে শুরু করে নেপথ্যশিল্পীরা। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন অংশের সংস্কৃতি কর্মীরা, ইতিমধ্যেই তাদের দাবি-সনদ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই গোটা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, ভারতীয় গণসংস্কৃতি সংঘের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির আহ্বানে মেদিনীপুরেও পথে নামলেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
সংস্কৃতিকর্মীদের ন্যূনতম মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাতা, সংস্কৃতিকর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা, লোকশিল্পীদের মতো অন্যান্য সংস্কৃতিকর্মীদের পরিচয়পত্র প্রদান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহ অবাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভাড়া দশহাজার টাকা থেকে কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে মেদিনীপুর শহরের সংস্কৃতিকর্মীর বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারের কলেজ মোড়ে রবীন্দ্রমূর্তির পাদদেশে সমবেত হন। সেখান থেকে বিভিন্ন দাবি-সনদ যুক্ত পোস্টার ব্যানার সহযোগে মিছিল করে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসকের দফতরে যান। সেখানে জেলশাসক ডাঃ রশ্মি কমলের দফতরে সংস্কৃতিকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি পেশ করেন।
এরপরে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদারের দফতরেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শ্রীমতি মজুমদার সংস্কৃতিকর্মীদের বক্তব্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে সংস্কৃতিকর্মীদের আশ্বস্ত করেন। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজয় পাল, প্রণব চক্রবর্তী, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, জয়ন্ত চক্রবর্তী, পার্থ মুখোপাধ্যায়, সুনীল বেরা, অচিন্ত্য মারিক, বিশ্বেশ্বর সরকার, বিমল গুড়িয়া, প্রদীপ কুমার বসু, বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ বাগচি, সুতনুকা মিত্র মাইতি, নরোত্তম দে, রাজনারায়ণ দত্ত, বুবুন সরকার, সুদীপ মাইতি, ইন্দ্রাণী দাশগুপ্ত, মোম চক্রবর্তী, প্রদীপ সাহা, স্বপন চক্রবর্তী-সহ প্রায় দেড় শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী।
Comments are closed.