বাঁকুড়ার দুঃস্থ শিক্ষার্থী রাখহরির পাশে শিক্ষক হেরম্বনাথ চক্রবর্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের অন্তর্গত দাবড়া গ্রামের বাসিন্দা রাখহরি মণ্ডল, জগদ্দল্লা গোড়াবাড়ি মহাত্মা গান্ধি স্মৃতি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। মা, বাবা ও ছোট ভাই নিয়ে তাদের চারজনের সংসার। বাবা অজিত মণ্ডল স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত। ছোট ভাইও মানসিক প্রতিবন্ধী। দারিদ্র তাদের নিত্যসঙ্গী। মায়ের ভেজে দেওয়া মুড়ি বস্তায় করে সাইকেলে চাপিয়ে, বিক্রি করতে করতে ছোট্ট রাখহরি পৌঁছে যায় গ্রাম থেকে দূরে বাঁকুড়া শহরে। ফিরতে দেরি হলে আর স্কুলে যাওয়া হয় না। এখন অবশ্য করোনা আবহে স্কুল বন্ধ। এভাবেই রাখহরির মুড়ি বিক্রির অর্জিত অর্থে সংসার চলে।
“লাল মাটির দেশ” বাঁকুড়ার এই ছেলেটির জেদ, সততা, পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় দেখে পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র তথা জঙ্গলমহল এলাকার মানবদরদি শিক্ষক হেরম্বনাথ চক্রবর্তী। হেরম্ববাবু ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত নয়াবসান জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক। রবিবার দিন হেরম্ববাবু রাখহরিদের বাড়িতে গিয়ে রাখহরির হাতে স্কুল ব্যাগ, খাতা, জ্যামিতি বক্স, কলম-সহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ও ছাতু, দুধ, বিস্কুট, সোয়াবিন, কোলগেট, সাবান, মাস্ক প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং শীতবস্ত্র তুলে দেন।
পাশাপাশি স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত অজিতবাবুর চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থও পরিবারটির হাতে তুলে দেন হেরম্ববাবু। ছেলেটির জেঠিমা বলেন, “পরিবারটি খুবই গরিব। রাখহরি পড়াশোনাতেও ভালো, হেরম্ববাবুর মতো অন্যান্য সহৃদয় ব্যক্তিরা যদি এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে খুবই উপকার হয়।”
Comments are closed.