রক্ত দিয়ে আইআইটি-র প্রাক্তন সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের পাশে শিক্ষক ও কেমিক্যাল সাপ্লায়ার
নিজস্ব সংবাদদাতা : রক্তদানের ক্ষেত্রে আবারও মানবিক মুখ দেখাল মেদিনীপুর শহর। একদিকে করোনা আবহ, অন্যদিকে রক্তের গ্রীষ্মকালীন চাহিদা– এই দুয়ের মাঝে পড়ে রাজ্যের বেশির ভাগ ব্লাডব্যাঙ্কেই এখন রক্তের সংকট। করোনা আবহে শিবিরও সেইভাবে হচ্ছে না হলেও তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্তদাতারা কমসংখ্যায় রক্তদান করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ব্লাডব্যাঙ্কও পড়েছে এই সংকটে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর বাড়ির লোকেদের। এভাবেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমস্যা পড়েন খড়্গপুর আইআইটি-র বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাক্তন সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মেদিনীপুর শহরের বার্জ টাউনের বাসিন্দা তপন চৌধুরীর বাড়ি লোকেরা। তপনবাবুর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে চার ইউনিট “ও” পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়।
ব্লাডব্যাঙ্কে প্রয়োজনীয় “ও” পজেটিভ রক্তের স্টক না থাকায় রোগীর ভাই স্নেহাশিস চৌধুরী যোগাযোগ করেন মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্রের সদস্য, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী, চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে। সুদীপবাবুর মধ্যস্থতায় সেদিন সন্ধ্যাতেই রক্তদান করেন তালবাগিচা হাইস্কুলের শিক্ষক সুনীত নায়েক। সেদিন সন্ধ্যায় ব্লাডব্যাঙ্কে উপস্থিত ছিলেন ক্যুইজ কেন্দ্রের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক সুভাষ জানা। এরই পাশাপাশি একই প্রয়োজনে সমাজসেবী ফকরুদ্দিন মল্লিকের মধ্যস্থতায় রক্তদান করেন কেমিক্যাল দ্রব্য সরবরাহকারী রাজেশ পলমল। তপনবাবুর স্ত্রী মিতালি চৌধুরী ও ভাই স্নেহাশিস চৌধুরী রক্তাদাতা ও মধ্যস্থতাকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Comments are closed.