‘কারও প্রাণের বিনিময়ে শিক্ষা হতে পারে না। স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা’ : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা ঠেকাতে ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন-সহ সব ধরনের পরীক্ষা। করোনার সংক্রমণ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আর পরীক্ষা হবে না ঘোষণা করে স্কুল শিক্ষা দফতর। কাটছাঁট করা হয় নবম থেকে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাতেও। ঘরে ঘরে পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসে ব্যস্ত। এরই মাঝে রাজ্যের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, কবে খুলবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়?
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “কারও প্রাণের বিনিময়ে শিক্ষা হতে পারে না। স্কুল কবে খোলা হবে, তা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।” শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও রাজ্যে অনলাইনে পড়াশোনা চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষানীতি নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘নয়া শিক্ষানীতি স্বপ্নের ফানুস। বাস্তবের সঙ্গে এর মিল নেই। যে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে তাতে প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। সেই বিপুল টাকা কে দেবে, কোথা থেকে আসবে, তা বলা হয়নি। এই শিক্ষানীতি লাগু হলে রাজ্য সরকারগুলির ওপরে আরও আর্থিক বোঝা বাড়বে।”
পার্থবাবু আরও বলেন, “কেন্দ্রের কাছে শিক্ষানীতি নিয়ে আমরা ৩০টি পয়েন্ট জানতে চাইব। কেন্দ্র এই অতিমারীর সময়ে কোনও আলোচনা ছাড়াই নতুন শিক্ষানীতি মন্ত্রিসভায় পাস করেছে। আসলে ওরা কিছুই মানে না। রেলের বেসরকারিকরণ করছে। শিক্ষানীতিতে কর্মসংস্থানের কথা নেই। কিন্তু সংস্কৃত-সহ একাধিক ভাষা শেখার কথা আছে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, তারাশঙ্কর, শরৎচন্দ্রের বাংলা ভাষাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কি সম্ভব?”
Comments are closed.