প্রার্থী পদে না, পদ্মে ‘মিত্র’ নয় শিখা
নিজস্ব প্রতিনিধি : দলে যোগ না দিয়েও প্রার্থী ! বিজেপিতে যোগদান না করেও বিধায়ক পদে লড়াইয়ের টিকিট পেলেন সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র। এরপরই জলঘোলা পরিস্থিতি। তাজ্জব খোদ প্রার্থীও। চৌরঙ্গি বিধানসভায় প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন পত্নী বিষয়টি জানার পরই ‘বিরক্তি’। এমনকী বিরক্তির ছাপ সন্তান রোহন মিত্রের চোখে-মুখেও।
এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিখা মিত্র জানিয়েছেন, ‘আমি প্রার্থী হতে চাই না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। কেন এভাবে আমার নাম ঘোষণা করা হল জানি না। আমাকে না জানিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অন্যায়। আমি কখনওই বিজেপির হয়ে নির্বাচন লড়ব না।’
শিখা মিত্রর এ ঘোষণার পর যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়ে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ১৪৮টি আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তাতেই চৌরঙ্গি আসন থেকে নাম দেখা যায় প্রাক্তন বিধায়ক শিখা মিত্র চৌধুরীর নাম।
সম্প্রতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রদেশ কংগ্রেসের প্রয়াত সভাপতি সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রর সঙ্গে দেখা করেন। শিখাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও জানা যায়। সেই সঙ্গে চৌরঙ্গি কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল বলেই খবর। তবে সূত্রের খবর, শুভেন্দুর থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নেন সোমেন-জায়া। বিজেপিতে যোগ দেবেন না তখন এমন কথা বলেননি শিখা মিত্র। তাতেই জল্পনা আরও বাড়ে। শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছিলেন শিখা পুত্র রোহন মিত্রও। তিনিও সেসময় দলবদলের সম্ভাবনা খারিজ করেননি।
ওই ঘটনার ছ’দিনের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন রোহন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, দলবদলের যে জল্পনা কয়েকদিন ধরে চলছে, তা সঠিক নয়। তিনি কংগ্রেসেই আছেন। সেই সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সর্বত্র জয়ী করার আবেদন জানান প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রোহন। এছাড়াও মোর্চার প্রার্থীদের প্রচারে যেতে আপত্তি নেই বলেও লেখেন তিনি। তারপরও এদিন শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে শিখা-রোহন দু’জনেই জানিয়ে দিলেন, বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন না। যা নিয়ে অনেকেই মুচকি হেসে বলছেন, পদ্মের শিখা জ্বলে উঠল না।
Comments are closed.