পাডিক্কাল-এবির দুরন্ত ব্যাটিং, চাহালের ঘূর্ণিতে জয় দিয়েই বিরাট অভিযান শুরু
সৌরভ রায়
ব্যাটে-বলে দুরন্ত আরসিবি। সানরাইজার্সকে ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে জয় দিয় আইপিএল ২০২০-তে অভিযান শুরু করল কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পিচের চরিত্র বুঝে এদিনও টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তবে প্রথম ব্যাট করতে নেমেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান দেবদূত পাডিক্কাল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অজি তারকা অ্যারন ফ্রিঞ্চ। প্রথম উইকেটেই বড় রানের ভিত গড়েছিলেন দুই ওপেনার দেবদূত পাডিক্কাল ও ফিঞ্চ। ১০ ওভারে দু’জনে যোগ করেছিলেন ৮৬ রান। আরসিবি-র প্রথম উইকেট পড়েছিল ৯০ রানে। বিজয় শঙ্করের বলে ৪২ বলে ৫৬ করে ফিরেছিলেন পাডিক্কাল। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান পাডিক্কাল এর এটাই ছিল কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল ম্যাচ। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তিনি নিয়েছিলেন ৩৬ বল। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটি চার। এরপরই ফিরে যান ফিঞ্চ (২৭ বলে ২৯)। দুই ওপেনারকে আউটের পর লড়াইয়ে ফিরেছিল সানরাইজার্স। এর পর তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহালি ও এবি ডিভিলিয়ার্স যোগ করেছিলেন ৩৩ রানে। কিন্তু কোহালিও বেশিক্ষণ থাকেননি। নটরাজনের বলে বড় শট নিতে গিয়ে ১৩ বলে ১৪ করে ফিরেছিলেন তিনি। ১২৩ রানে পড়েছিল তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে টেনেছিলেন সেই ডিভিলিয়ার্স। তাঁর পঞ্চাশ এসেছিল ২৯ বলে। ৩০ বলে ৫১ করে রান আউট হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটো ছয়। ২০ ওভারে ১৬৩ রান তোলে আরসিবি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রান তাড়ার শুরুতেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়েছিল হায়দরাবাদ। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে রান আউট হন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা ওয়ার্নার (৬)। দ্বিতীয় ওভারে ১৮ রানে পড়েছিল প্রথম উইকেট। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো যোগ করেন ৭১ রান। হায়দরাবাদের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৮৯ রানে। যুজভেন্দ্র চহালের বলে আউট হন মণীশ। বেয়ারস্টোর পঞ্চাশ আসে ৩৭ বলে। ১৪ ওভারের শেষে সানরাইজার্সের রান ছিল দুই উইকেটে ১০৮। ফলে, ৩৬ বলে দরকার ছিল ৫৬ রান। হায়দরাবাদের তৃতীয় উইকেট পড়ল ১২১ রানে।চহালের চতুর্থ ওভারে বোল্ড হলেন বেয়ারস্টো (৪৩ বলে ৬১)। যাতে ছিল ছয়টি চার ও দুটো ছয়। তৃতীয় উইকেটে প্রিয়ম গর্গের সঙ্গে বেয়ারস্টো যোগ করেছিলেন ৩২ রান। বেয়ারস্টো যখন ফিরলেন তখন সানরাইজার্সের ২৮ বলে দরকার ছিল ৪৩ রান। পরের বলেই চহালের গুগলিতে বোল্ড বিজয় শঙ্কর (০)। হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন চহাল। কিন্তু হ্যাটট্রিক হয়নি। তবে মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচে ফেরালেন ব্যাঙ্গালোরকে। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি হায়দরাবাদ। ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। ১০ রানে জিতে আইপিএল অভিযান শুরু করল বিরাটরা।
Comments are closed.