চটজলদি মুখের ত্বকের যত্ন ঘরোয়াভাবেই
জ্যোৎস্না পাল, রূপবিশেষজ্ঞ, ফোন : +৯১ ৮২৯৬০ ৩৬৬১৫
মুখে, বিশেষ করে দুই গালে, কপালে, গলায়, পিঠে দাগ-ছোপ পড়ে গিয়েছে? অনেক ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি কোনও? তাহলে আপনার জন্যেই এই প্রতিবেদন। রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা করানোর চেয়ে অনেক ভাল রোগটাকেই আটকে দেওয়া। এমন অনেক ঘরোয়া উপায় আছে, যা আপনার মুখের যত্ন নেবে সারাজীবন। অথবা যদি কোনওরকম নতুন সমস্যাও দেখা দেয়, তা দ্রুত নিরাময় করবে।
১. একটা কথা মনে রাখবেন। প্রতিদিন আমাদের প্রত্যেককে ঘরের বাইরে প্রায়ই বেরতে হয়। এরফলে ধুলোবালি জমে ত্বকের উপর ছাপ পড়ে যায়। তাই ঘুমের আগে অবশ্যই ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মেকআপ থাকলে প্রথমে ক্রিম, তেল, ময়েশ্চারাইজার বা মেকআপ রিমুভার দিয়ে তা তুলে নিতে হবে। এরপর ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রস পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে মুখের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়। ব্রণমুক্ত থাকে মুখ।
২. দিনে কমপক্ষে দু’বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। বাজারের কোনও কোম্পানির ফেসওয়াশ যদি আপনার জন্য নিরাপদ না হয়, তাহলে বেসন ব্যবহার করতেই পারেন। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কোনওমতেই সাবান ব্যবহার করবেন না।
৩. কালো, ঘণ ব্রণর দাগ কমাতে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। জল ও ভিনিগারের মিশ্রণ হালকা গরম করে ঠান্ডা করে নেবেন। তারপর সেটি মুখে মেখে ৫ মিনিটের মতো রাখবেন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে বেশ কয়েকদিন মেনে চললে দাগ অনায়াসে মিলিয়ে যাবে।
৪. যাদের চোখের চারপাশে কালো দাগ আছে, তারা ঘুমানোর আগে শসা বা আলু কুড়িয়ে চোখের চারপাশে কিছুক্ষণ রাখুন। অথবা আপনি ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ব্যবহৃত টি-ব্যাগও ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখের পাতার রাখতে পারেন। এরফলে চোখের চারপাশের কালো দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
৫. মুখের কালো দাগ, কুচকে যাওয়া ত্বক, বিষন্নতা, এসব দূর করতে চন্দনের প্যাক খুব কার্যকর। চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে কিছুটা হলুদ আর দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন প্রথমে। তারপর সেটি নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ করতে এর জুড়ি নেই।
৬. ত্বকের ভাজে ধুলো জমেছে। অক্সিজেন প্রবেশে বাধা পাচ্ছে? এই সমস্যা দূর করতে অতি সহজ উপায় হল দুধের মধ্যে এক চিমটি নুন আর লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে যাবার পর ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
৭. অতি সাধারণ আর সাশ্রয়ী রূপচর্চার ঘরোয়া উপাদান হল গোলাপ জল। তবে বাজার থেকে কেনা গোলাপজলে আপনার যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। সাদা জলে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রেখে দিন। মুখ ধোওয়ার জন্য এই জলই ব্যবহার করুন। একই কাজ করবে।
৮. মুখে খুব ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। দোকান থেকে কেনার আগে খেয়াল করবেন ময়েশ্চারাইজারে যেন ওয়াটার সলিউশন বেশি থাকে। ময়েশ্চারাইজার যত হালকা হবে, তত ভালো।
৯. যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক তারা অবশ্যই গ্রিন-টি গুঁড়ো করে গোলাপজল মিশিয়ে ফেসওয়াশ বা প্যাক হিসেবেও মুখে লাগাতে পারেন। এরপর দুই থেকে তিন মিনিট মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ উপকার পাবেন।
১০. পার্লারে গিয়ে ফেয়ার পালিশ বা ব্লিচ না-করাই ভাল। এরফলে আপনাকে কিছুদিন ফর্সা দেখাবে। তবে পরে আপনার ত্বক কালচে হয়ে যায়। এর বদলে প্রতিদিন ক্নিনজার ব্যবহার করুন। অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বেছে নিন।
Comments are closed.