‘দুয়ারে সরকার’-এর পর ‘দুয়ারে পুলিশ’! সমস্যা ও অভিযোগ শুনতে অভিনব উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘দুয়ারে সরকার’-এর পর এবার ‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমেই মানুষের সমস্যা ও অভিযোগ শুনতে একেবারে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেলেন আইনরক্ষকরা। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে তা নথিভুক্ত করল পুলিশ। পাশাপাশি কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়েও জনগণকে সচেতন করলেন তাঁরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও ভাতার থানার পুলিশের উদ্যোগে ভাতারের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুধবাগান আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শনিবার শুরু হল এমনই এক পুলিশ সহায়তা শিবির। থানা থেকে দূরবর্তী গ্রামগুলির মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা জানাতেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। গ্রামের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ শিবিরে হাজির হন তাদের সমস্যা নিয়ে। শিবিরে কেউ পারিবারিক সমস্যা, কেউ জরুরি নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া নিয়ে ডায়েরি করলেন, কেউ বা আবার রাস্তার সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পত্র জমা দিলেন। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএসপি (ডিআইবি) বীরেন্দ্র কুমার পাঠক, সার্কেল ইন্সপেক্টর সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাতার থানার ওসি প্রণব কুমার বন্দোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।
'দুয়ারে পুলিশ'– থানা থেকে দূরবর্তী গ্রামগুলির মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা জানতেই উদ্যোগ pic.twitter.com/NJtZ25MqCp
— Bengal Fast (@bengal_fast) July 3, 2021
‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়বে বলে মত পুলিশকর্তাদের। পূর্ব বর্ধমানের ১৬টি থানার অনেক এলাকা সমস্যাসঙ্কুল বলে মনে করেন পুলিশকর্তারা। নানা কারণে ওইসব সমস্যাসঙ্কুল এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। সেইসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মানুষজনের সমস্যা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে যাতে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া যায় তারই জন্য এ উদ্যোগ।
ডিএসপি (ডিআইবি) বীরেন্দ্র কুমার পাঠক জানিয়েছেন, ‘ভাতার থানা থেকে মাহাতা দুধবাগান এলাকা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। এই এলাকার বহু মানুষ এতটা দূরত্ব পেরিয়ে সব সময় থানায় যেতে পারতেন না। দুয়ারে পুলিশ কর্মসূচিতে এদিন গ্রামের বহু মানুষের সমস্যা অভাব-অভিযোগ গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক তৈরি হবে। তেমনই যেকোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিজের এলাকায় তারা পুলিশের কাছে পৌঁছাতে পারবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, ‘আজ থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্প। প্রতিটি থানার নির্দিষ্ট এলাকায় সময় নির্দিষ্ট করে এই শিবিরগুলি করা হবে। শিবির করার আগে ওই এলাকায় প্রচার করা হবে। শিবিরে সংশ্লিষ্ট থানার আইসি অথবা ওসি ছাড়াও আধিকারিকরা থাকবে। দুয়ারে পুলিশ কর্মসূচির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পর পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সপ্তাহে একদিন নির্দিষ্ট এলাকা ধরে শিবির করা হবে। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’
Comments are closed.