দর্শকশূন্যই থাকবে পুজোমণ্ডপ, ছাড় নেই অঞ্জলি-সিঁদুর খেলাতেও
শুভাশিস মণ্ডল
দর্শকশূন্যই থাকবে রাজ্যের সব পুজোমণ্ডপ। ছাড় নেই অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলাতেও। বুধবার ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর রিভিউ পিটিশনের শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পুজো উদ্যোক্তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আগের রায় পুনর্বিবেচনা করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন হাইকোর্ট রায় পুনর্বিবেচনা করে ঢাকিদের নো এন্ট্রি জোনের ভিতরে অর্থাৎ মণ্ডপে ঢোকার নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া বড় পুজোমণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা যাবে বলে জানিয়েছেন। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। ৩০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ জন এবং বড় মণ্ডপে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৪৫ জন। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে আগের দেওয়া নির্দেশ ১৫ জনই বহাল থাকল। তবে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন। সকাল ৮টার মধ্যে মণ্ডপের সামনে টাঙাতে হবে তালিকা। মণ্ডপে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম রোজ বদল করা যাবে।
‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে অনুরোধ করেন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ধাপে ধাপে এবং সিঁদুর খেলার সময়েও ধাপে ধাপে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হোক। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই রায় দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আগের রায় বদলানো যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
Comments are closed.