কোভিড হাসপাতাল গড়ার প্রস্তাব বেলুড় শ্রমজীবীর, পরিদর্শনে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন

রূপম চট্টোপাধ্যায়
হাওড়া ও হুগলি দুই জেলাতেই করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কোভিড চিকিৎসায় আরও ১০০ শয্যা বাড়াতে হন্যে হয়ে জেলা প্রশাসন ঘুরছে কোন হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়িয়ে অবস্থা সামাল দেওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল (Belur Sramajibi Hospital) ৫ নম্বর জিটি রোড সংলগ্ন ২২ বিঘা খাসজমিতে একটি কোভিড হাসপাতাল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ওই জমিটি পেলে শ্রমজীবী নিজেদের খরচে হাসপাতালের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করে নেবে। ইতিমধ্যেই সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল ১০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল চালুও করেছে। বিনামূল্যে সাফল্যের সঙ্গে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে। বর্তমানে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল চলছে বন্ধ ইন্দো-জাপান কারখানার লাগোয়া জমিতে। শ্রমজীবী এই লকডাউন পর্বেও নন-কোভিড রোগীদের এক পয়সা চার্জ বৃদ্ধি না করেই চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে। কোনও লাভ নয়, চিকিৎসার প্রকৃত খরচটুকু নিয়েই পরিষেবা দেওয়া শ্রমজীবীর ঘোষিত নীতি। লকডাউন পর্বে বহির্বিভাগে ৮,৫০০ এবং ১,৬০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা পেয়েছে।

সরকারি ওই খাসজমিতে একটি তিনতলা খালি বাড়ি পড়ে আছে। যা সহজেই কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। তবে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ বর্তমান বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালটিকেই কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত করতে চাইছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ এর ঘোর বিরোধী। তারা বলছেন করোনা আবহে বেলুড় শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের বড় ভরসা। কোভিড নয় এমন অন্য রোগে হাওড়া, হুগলি-সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে রোগী আসে এখানে। তাই পৃথক কোভিড হাসপাতাল হোক শ্রমজীবীর উদ্যোগে সরকারি খাসজমিতে। এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল পরিদর্শনে আসছেন।
প্রস্তাবিত ওই জমিতে প্রোমোটারদের তীক্ষ্ণ নজর আছে। প্রোমোটারদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রশাসন ওই জমি বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতির হাতে তুলে দেয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে আছে হাওড়া-হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ।
Comments are closed.