লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন মোদির, ভাষণে করোনা টিকা থেকে সীমান্ত সমস্যা
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
দেশে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া এবং লকডাউনের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস চলে আসায়, দেশবাসীর মনে কৌতূহল ছিল, লালকেল্লার ভাষণে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েকদিন আগে রাশিয়া করোনার টিকা আবিষ্কারের পর তা নিয়েও ছিল জোর জল্পনা। স্বাভাবিকভাবেই এদিন দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণে উঠে এল করোনার টিকা প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ভারতে করোনার টিকা বিভিন্ন ধাপে রয়েছে এবং অনুমোদনের পর, সেই টিকা যাতে প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছায় তা সুনিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
We attach great importance to the security and well-being of our border and coastal areas.
We want to further ramp up the development works happening in the islands of India.
Like Andaman and Nicobar Islands, we are working to ensure fast internet connectivity for Lakshadweep. pic.twitter.com/fGJdfNUfpI
— Narendra Modi (@narendramodi) August 15, 2020
লালকেল্লার ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “টিকাগুলি পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবুজ সঙ্কেত দিলেই, আমরা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত। কীভাবে শেষ মুহূর্তে সেই টিকা প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে পৌঁছাবে, আমাদের কাছে সেই পরিকল্পনাও রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র করোনার টিকা নিয়ে বলেই ক্ষান্ত থাকেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ভাষণে এদিন উঠে এসেছে কাশ্মীর থেকে শুরু করে সীমান্ত সমস্যার প্রসঙ্গও। তিনি এদিন বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ রেখা, যেখানেই ভারতীয় সার্বভৌমত্বকে খণ্ডনের চেষ্টা হয়েছে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।”প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, “নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে শুরু করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, যেখানেই ভারতের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তাদের ভাষায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।”
লাদাখের গালোয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের অখণ্ডতা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের দেশ কী পারে, লাদাখে তা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। আজ লালকেল্লা থেকে আমি সেই বীর সৈনিকদের স্যালুট জানাই।”
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দিয়ে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, তবে কী সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদ রাখা হবে না? স্বাধীনতা দিবসের দিনে লালকেল্লা থেকেই সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ভাগ করার প্রক্রিয়া শেষ হলেই জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট হবে, এবং সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা যাতে থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে বধ্যপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার।
Comments are closed.