Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

খাস কলকাতায় মেয়ের শাশুড়িকে হত্যা বাবা-মার! ট্যাক্সিতে পাচারের সময় হাতেনাতে পাকড়াও

নিজস্ব সংবাদদাতা : খাস কলকাতায় ফের নৃশংস হত্যার খবর। শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর অত্যাচারের বদলা নিতে মেয়ের শাশুড়িকেই মেরে ফেলল বাবা-মা। দেহ পাচারেরর সময় পশ্চিম চৌবাগার কাছে হাতেনাতে ধরে ফেলে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য শহরজুড়ে।

- Sponsored -

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ভোর ৪টে ১০ নাগাদ। পশ্চিম চৌবাগার কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের উপর নাকা চেকিং করছিল প্রগতি ময়দান থানার পেট্রল পুলিশ। একটি হলদু ট্যাক্সি আসতে দেখে সেটাকে দাঁড় করানো হয়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুলতে বলা হয় ট্যাক্সির ডিকি। এরপরই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সামনে আসে। দেখা যায় ডিকিতে রয়েছে সাদা রঙের একটি সবজি বস্তা। তল্লাশি করার সময় সবজির বস্তার আড়াল থেকে একটা মাথা নজরে আসে পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সিচালক-সহ তিন যাত্রীকে আটক করে পুলিশ।

প্রগতি ময়দান থানায় চারজনকে আনা হলে জেরা শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা। জেরায় জানা যায় দেহটি হরিদেবপুরের সুজামণি গায়েনের (৬০)। অভিযুক্তদের জেরা করে হরিদেবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। জানা যায় এই দুঃসাহসিক কাজটি ঘটে কবরডাঙা এলাকায়। আটক ওই ৪জনকে জেরার পর জানা যায় তাদের নাম। ট্যাক্সিতে ছিল মলিনা মণ্ডল ও তার স্বামী বাসু মণ্ডল এবং তাদের এক আত্মীয় অজয়। সুজামণি মলিনার মেয়ের শাশুড়ি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত সুজামণি। তার প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করা হয়েছে সুজামণিকে। জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে মলিনা, অজয় এবং মলিনার স্বামী— তিন জন মিলে রাতে লাঠি দিয়ে মেরে, গলা টিপে খুন করেছে সুজামণিকে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য ট্যাক্সিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হওয়ার আগেই হাতেনাতে ধরে ফেল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.