মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য পুজো উপহার আসানসোল প্রেস ক্লাব
শুভাশিস মণ্ডল
শিল্পশহর আসানসোলে সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য কোনও বসার ঘর নেই। এই আবেদন নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি জানিয়েছিলেন আসানসোলের বিশিষ্ট সাংবাদিক তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভালো প্রেস ক্লাব রয়েছে কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে থাকলেও আসানসোল ব্রাত্যই থেকে গেছে। সারাদিন খবর সংগ্রহের পর একটু জিরিয়ে নেওয়া বা জরুরি আলোচনা সবই আসানসোলের সাংবাদিক বন্ধুদের করতে হত রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে সেই আবেদন করতেই আসানসোলের তৎকালীন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন একটি প্রেস ক্লাব তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন পয়লা বৈশাখের আগে আসানসোলের সাংবাদিকদের ক্লাব ঘর উপহার দেওয়ার জন্য।
প্রতীক্ষার অবসান। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য পুজোর উপহার আসানসোল প্রেস ক্লাব। pic.twitter.com/WoFxYONgOc
— Bengal Fast (@bengal_fast) October 22, 2020
তারপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘর তৈরি হলেও পয়লা বৈশাখে আসানসোল প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। ৯ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হল আজ। শারদ উৎসবের মহা ষষ্ঠীতে আসানসোল প্রেস ক্লাবের শুভ উদ্বোধন করলেন আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি।
১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসানসোলে প্রেস ক্লাবের জন্য আবেদন করেছিলেন সাংবাদিক তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। আজ উদ্বোধনের পর খুশি তৃণাঞ্জন। pic.twitter.com/ktBsV4FkPu
— Bengal Fast (@bengal_fast) October 22, 2020
আর যাঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় আসানসোলের সাংবাদিক বন্ধুদের একটি ডেরা তৈরি হল সেই বিশিষ্ট সাংবাদিক তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, ‘দিদিকে সত্যিকারের যদি কিছু বলা যায় সেই কাজ অবশ্যই হয়’।
Comments are closed.