Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

করোনা আবহে বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার অজুহাত : ডেরেক

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং তার মোকাবিলায় টানা ৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে থমকে থাকা গণতন্ত্রের মন্দিরের দরজা এবার খুলতে চলেছে ১৪ সেপ্টেম্বর। আসন্ন বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের আনা নয়া শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে ডিজিটাল মিডিয়া সংক্রান্ত সংশোধনী বিল আসতে চলেছে এবারের বাদল অধিবেশনে।

এবারের বাদল অধিবেশনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় যেটা তা হল, সরকারকে প্রশ্ন করার কোনও সুযোগ থাকছে না। তবে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হলেও, জিরো আওয়ার থাকবে বলে জানা গেছে। ৩০ মিনিট সময়সীমায় জিরো আওয়ারে যা বলার বলে ফেলতে হবে বিরোধীদের। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

- Sponsored -

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ট্যুইট করেন, “বিরোধী এবং মত বিরোধ বা ভিন্ন সুর স্তব্ধ করতে অতিমারীতে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ক্ষমতাশালীরা। দেরিতে শুরু হতে চলা সংসদে কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। আমাদের সুরক্ষিত রাখার নামে একে কী ভাবে বিচার করা যায়।” আরেকটি ট্যুইটে থারুর লেখেন, “সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার সংসদীয় গণতন্ত্রকে অক্সিজেনের জোগান দেয়। সরকার এটিকে একটি নোটিশ বোর্ডে পরিণত করার চেষ্টা করছে। নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে যা খুশি পাস করাতে চাইছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করার অজুহাত অতিমারী।’ ট্যুইটে তিনি লেখেন, “প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন রাখার জন্য ১৫ দিন আগে প্রশ্ন জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদ শুরু হচ্ছে। প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল? অতিমারীকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।” আরজেডি নেতা মনোজ ঝাও প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সীমান্তে যখন এই পরিস্থিতি, করোনায় বহু মানুষের মৃত্যু, সেই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।’’ সিপিআই সাংসদ বিনয় ভীষ্মাম ইতিমধ্যেই প্রশ্নোত্তর পর্ব ফেরানোর আবেদন জানিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি লিখেছেন। ফলে সব মিলিয়ে এবারে বাদল অধিবেশন একবারে নতুন ভাবে হতে চলেছে।

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.