জিএসটি ঘাটতি মেটাতে রাজ্যগুলিকে লোনের সুপারিশ নির্মলা সীতারামনের
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
রাজ্যগুলির রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে দুটি উপায়ের সন্ধান দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে মার খেয়েছে ব্যবসা, ফলে পণ্য ও পরিষেবা কর আদায়ও ব্যাপক ভাবে কমেছে। ২০২১ অর্থবর্ষে সেটির পরিমাণ ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা বলে এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, “করোনা ভাইরাস অতিমারী ঈশ্বরের মার, এবং অপ্রত্যাশিতভাবে জিএসটি আদায় মার খেয়েছে। এই বছরে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মখে পড়েছি।” অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে পণ্য ও পরিষেবা খাতে ক্ষতিপূর্ণ বাবদ ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যারমধ্যে রয়েছে মার্চে দেওয়া ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যেখানে পণ্য ও পরিষেবা করের ক্ষতিপূরণে সেসের পরিমাণ ৯৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা।
করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের জন্য রাজস্ব আদায় কমায়, ভাঁড়ারে টান পড়েছে রাজ্যগুলির। তা নিয়ে কেন্দ্রকে বার্তাও দিয়েছে রাজ্যগুলি। ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বুধবারই বিষয়টি তুলে ধরে, জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।
বৈঠকে এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “রাজ্যগুলিকে দুটি রাস্তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে পারি। আজ থেকে সাতদিনের মধ্যে রাজ্যগুলির তরফে দুটি বিকল্পের বিস্তারিত দিতে হবে। অর্থাৎ আমরা ছোটো একটা বৈঠক করতে পারি। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব। এবছর দ্বিমাসিক পেমেন্টে দেরি হয়েছে। শুধু এবছরের জন্য আমরা এটা চাই। আবার পরের বছর এপ্রিলে পেমেন্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে জিএসটি কাউন্সিল।”
আইন অনুযায়ী, ২০১৭-র ১ জুলাই কার্যকর হয়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর, তারপর থেকে এই অভিন্ন করবিধি চালু হওয়ায় রাজ্যগুলির রাজস্বে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই অর্থ আগামী ৫ বছরের জন্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে রাজস্ব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যদি ২০১৭-এর জুলাই থেকে তারা ১৪ শতাংশের নীচে তাদের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হয়। সূত্রের খবর, অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে রাজস্ব ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
Comments are closed.