নারী নির্যাতনের তদন্তে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ কেন্দ্রের
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
নারীঘটিত অপরাধের তদন্তে যেন কোনওরকম গাফিলতি না হয়, তার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তদন্তে গাফিলতি ধরা পড়লে দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতরাসের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। শুধু ঘটনাই নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশজুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা জোরদার করার দাবি জোরালো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ধর্ষণ নিয়ে ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের নির্দেশিকা মেনে তদন্ত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “মহিলাদের যৌন হেনস্থা বা যেকোনও নারীঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য সময়ে সময়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ভারত সরকার। তারমধ্যে রয়েছে, এফআইআর দায়ের করা, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নুমনা সংগ্রহ করা, যৌন হেনস্থার প্রমাণ বা নমুনা সংগ্রহ করা, দু’মাসের মধ্যে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত শেষ করা, অপরাধীদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে জাতীয় ডাটা ব্যবহার করার মতো প্রক্রিয়াগুলি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “আইনে বলা হয়েছে, তথ্য পাওয়ার পরেই পুলিশকে এই বিষয়ে এফআইআর অথবা সেই থানা এলাকার বাইরে হলে জিরো এফআইআর দায়ের করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগও।” গাফিলতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সেই সমস্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬এ, ৩২৬বি, ৩৫৪, ৩৫৪বি, ৩৭০, ৩৭০এ, ৩৭৬, ৩৭৬এ, ৩৭৬বি, ৩৭৬এবি, ৩৭৬সি, ৩৭৬ডি, ৩৭৬ডিএ, ৩৭৬ডিবি, ৩৭৬ই, ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে কোনও ব্যক্তির দেওয়া মৌখিক বা লিখিত বয়ান, মৃত্যুর কারণ বা অন্য কোনও কিছু কেউ জানলে তা প্রাসঙ্গিক ধরতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করতে বলা হয়েছে।
Comments are closed.