‘গদ্দার-মিরজাফরকে এই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম’, ডোমজুড়ে তোপ মমতার
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘মা-বোনেরা আমায় ক্ষমা করবেন, আমি গদ্দার-মিরজাফরকে এই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম।’ না শুভেন্দু নয়। এবার নিশানায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁচাছোলা এই বক্তব্য খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওঁকে সেচমন্ত্রী করা হয়েছিল। তারপরই আমি বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে ওই দফতর থেকে সরিয়ে দিই। তারপর বন দফতরে পাঠিয়েছিলাম। আমায় ও কী বলেছিল জানেন? তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দায়িত্ব দিতে। যাতে সেখান থেকে টাকা খেতে পারে। আগে জানলে, দাঁড়াতেই দিতাম না।’
রাজীবকে উদ্দেশ্য করে আরও সপ্তমে সুর তোলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন মানু্ষের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে ক্ষমা চা।’ পাশাপাশি কলকাতায়, দুবাইয়ে অনেক সম্পত্তি করেছে রাজীব, এমন অভিযোগও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করার বিষয়ে মমতা বলেন, ‘১ লাখ নেতা গুন্ডা নিয়ে তারা বাংলায় পড়ে আছে। গোটা দেশকে বেচে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নালিশ করে কোনও লাভ নেই। কত অভিযোগ দায়ের করেছে! নন্দীগ্রামের মানুষকে মুসলিম পাকিস্তানি বলছে ওরা! লজ্জা করে না। আমি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, আদিবাসী সবার সঙ্গেই রয়েছি। নরেন্দ্র মোদিও তো সভায় দাঁড়িয়ে ধর্ম নিয়ে কথা বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে তো কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। উত্তরপ্রদেশে যখন দাঙ্গা লেগেছিল, তখন তো সেখানে যাওনি। দাঙ্গা করে মানু্ষ খুন করেছে। ছদ্মবেশী শয়তান, বজ্জাত সরকার। মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করে। আগে দিল্লি গিয়ে সামলাক। ভোট চাইতে আসলে, বলবেন আগে অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দিন, তারপর ভোট দেব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সংবাদমাধ্যমে ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে নিজের সম্পত্তির প্রমাণ দিন। আমার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আছে। সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন, তোমায় ভালো দফতর দেব। আমি কোনওদিন কিছু চাইনি। এসব বলে কিছু হবে না এখন। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চেনেন।’
Comments are closed.