‘২১-এর ভোট দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ’, টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা : ২০২১-এর ভোট দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়াল সভা থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী এদিন অভিযোগ করেন, ‘করোনা একদিন চলে যাবে, কিন্তু করোনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহামারী ছড়াচ্ছে বিজেপি সরকার। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচার ছড়ানো হচ্ছে।’ তিনি ছাত্র সমাজের উদ্দেশে বলেন, ‘ওরা এসব করতে চাইলে করতে দিন, আমি মনে করি ছাত্র সমাজ আমার পাশে থাকলে বাংলাই সারা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে। কথা বলার স্বাধীনতা আবার ফিরে আসবে গোটা দেশে।’
এদিন মেয়ো রোডের সভা থেকে নিট এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বক্তৃতায় অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘এখন কেন ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে না।’ শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘এত যে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ঢাক পেটানো হল, তাহলে এখন কেন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে না? কেউ অসুস্থ হলে তাঁর দায়িত্ব কে নেবে।’ পাশাপাশি অভিষেকের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টকে সঠিক তথ্য দেয়নি কেন্দ্র। সঠিক তথ্য দিতেই ছয়টি রাজ্য একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘বিভিন্ন শিবির থেকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠা সত্ত্বেও কেন্দ্র তাতে রাজি হচ্ছে না দম্ভ, অহঙ্কার এবং ঔদ্ধত্যের কারণে। সরকার মানুষের জন্য, মানুষ সরকারের জন্য নয়।’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনিই তো বলেছিলেন জান হ্যায়, তো জহান হ্যায়। এখন সে কথার কী হল?’
মেয়ো রোডে অভিষেক-পার্থর সভার ঘণ্টা দেড়েক পরই কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল সভা করেন দলনেত্রী। করোনা আবহে ৩০ লক্ষের বেশি নিট এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। পাশাপাশি ২১ সালের বিধানসভা ভোটকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। এদিন ৯ অগস্টকে ছাত্রদিবস হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা। ভার্চুয়াল সভা থেকে যুবপ্রজন্মের জন্য চাকরিরও আশ্বাস দেন তিনি।
Comments are closed.