‘বিজেপি ৩৬৫ দিনই মানুষকে এপ্রিল ফুল বানায়’! তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ি ময়দানের জনসভা থেকে ফের একবার বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে হুঙ্কার দিয়ে বললেন, “ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করে দেখান। আমি জেলে থাকব। জেলে থেকেই বাংলাকে যেতাব। এই চ্যালেঞ্জ করে গেলাম।” এর পাশাপাশি সিপিএম-কংগ্রেসকেও তোপ দেগে মমতা বলেন, “বাঁকুড়ার প্রতিটি জায়গা শান্তিতে রয়েছে। আর তা দেখে খুব রাগ হয়েছে সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেসের। তিনটে জগাই, মাধাই, গদাই এক হয়েছে। আর এক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর জন্য লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করেছে। একসঙ্গে টাকা নিয়েছে। একসঙ্গে ভোট দিয়েছে। যে সিপিএমের হার্মাদ একসময় মানুষের উপর অত্যাচার করেছিল সেই হার্মাদ বিজেপির হার্মাদে পরিণত হয়েছে। রঙটা শুধু পাল্টে গিয়েছে। হৃদয়টা একই আছে।”
বাঁকুড়া সভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়-ভীতির রাজনীতির অভিযোগ তুলে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না।ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের অভিশাপ, এই অভিশাপকে জব্দ করতে হবে, স্তব্ধ করতে হবে। সব কিছু লুটে নিয়েছে বিজেপি, আপনারা চাষির দাম পাবেন না। বিজেপি ৩৬৫ দিনই মানুষকে এপ্রিল ফুল বানায়।”
এরই পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রী বলেন, “সরকার যেমন দেখছি, এ বার থেকে দলও আমিই দেখব। একটু ঢিলে দিয়েছিলাম, এ বার আমিই দেখব। কে কোথায় যাচ্ছে, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, কে কী করছে, সব আমার কাছে খবর আছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, “অনেকেই বলছেন এই জেলায় পর্যবেক্ষক কে, ওই জেলায় পর্যবেক্ষক কে? আমি বলছি সারা বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে আমিই পর্যবেক্ষক। এই বাঁকুড়ার মাটি থেকেই সেই কাজ আমি শুরু করলাম।”
Comments are closed.