‘নাড্ডাদের জন্য গাড্ডা তৈরি হচ্ছে বাংলায়’, বড়জোড়ার সভায় চাঁছাছোলা মদন মিত্র
শুভাশিস মণ্ডল
একুশের ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন মদন মিত্র তা আবারও প্রমাণ হল এদিন। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীর চাঁছাছোলা বক্তব্যে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা ময়দান হয়ে উঠল জমজমাট। সভা ঘিরে লোকসমাগম হল চোখে দেখার মতো। শুরু থেকেই মদন মিত্র বিজেপিকে নিশানা করে শুধু চ্যালেঞ্জই ছুড়লেন না, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী। তির্যক সুরে তিনি বলেন, “একই পরিবারের দু’জনকে সাংসদ, একজনকে বিধায়ক ও একাধিক দফতরের মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। তারপরও শত্রুর সঙ্গে আপস করেছেন তিনি। কর্মীরা তো কোনদিনও মন্ত্রী হননি। তারপরও হাজার হাজার কর্মী আজও তৃণমূলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছেন। কারণ, তাঁরা ‘বেইমান’ নন।”
এদিন বিজেপিকে তোপ দেগে মদন মিত্র বলেন, “নাড্ডাদের জন্য গাড্ডা তৈরি হচ্ছে বাংলায়। আজকে হরিয়ানা যা করেছে যদি বড়জোড়ার মাটিতে না করতে পারি তাহলে মাথার চুল কামিয়ে বালাজিকে দিয়ে দেব। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার আজ নামতে দেয়নি কৃষকেরা। আমরাও চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে গেলাম। এরপরের হেলিকপ্টার বাঁকুড়ার মানুষও নামতে দেবে না।” পাশাপাশি এনআরসি ইস্যুতেও বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি জিতলে আপনার বাড়িতে আপনাকেই থাকতে দেবে না ওঁরা। সিএএ, এনআরসির অজুহাত দেখিয়ে অসমের বাসিন্দাদের মতো এ রাজ্যের গরিব মানুষের জমি লুট করবে।”
এদিনের বড়জোড়ায় মদন মিত্রের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রাজকুমার সিংহ-সহ অন্যান্যরা।
Comments are closed.