এমএ পাস চোরকে ধরল পুলিশ! উদ্ধার ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনার গয়না

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়ায় গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার এমএ পাস চোর। একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হল মূল পাণ্ডা আসানসোলের বাসিন্দা সৌমাল্য চৌধুরী-সহ মোট তিনজনকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনার গয়না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌমাল্য চৌধুরী ২০১৫-তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাস করে। কিন্তু চুরি করাই তার নেশা। এটাকে পেশা হিসেবেই বেছে নেয় সে। আসানসোল, হাওড়া, হুগলি জেলায় কমপক্ষে ২০টি চুরির ঘটনায় যুক্ত সৌমাল্য।
গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার এমএ পাস চোর। বড়সড় সাফল্য হাওড়ার সাঁকরাইল থানার। pic.twitter.com/xfm9uGBqBs
— Bengal Fast (@bengal_fast) June 20, 2021
তার বাবা ছিলেন সরকারি অফিসার। মা ছিলেন শিক্ষিকা। ছেলের কু-কীর্তির কথা জানতে পেরে আত্মঘাতী হন তিনি। এতেও শোধরায়নি সৌমাল্য। চুরি করাকেই পেশা করে নেয়। একবার আসানসোল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কয়েকমাসের জন্য জেল খেটে ছাড়া পায় সে।
গত ৯ জুন হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১০ ভরি সোনার গহনা চুরি করে চম্পট দেয় সে। স্কুটি করে পালাবার সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেয়। সেই নম্বরের সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী ও তার এক সাগরেদ প্রকাশ শাসমলকে। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাধব সামন্তকে।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাঁকরিয়া জানান, ‘মাধব সামন্তকে চুরির মাল বিক্রি করেছিল এরা। হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় ৯টি চুরি করেছে অভিযুক্তরা।’ এদের আজ হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন করেছে পুলিশ। অনুমান বাকি চুরির ঘটনার কিনারা করা যাবে।
Comments are closed.