কড়া হাতে করোনা মোকাবিলা, বৃহস্পতি থেকে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা পরিস্থিতিতে কড়া রাজ্য। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সন্ধেয় নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আপাতত ১৪ দিনের জন্য বাংলায় বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘৫০ শতাংশ কমছে সরকারি গণপরিবহণ ও মেট্রোও।’ এছাড়াও রাজ্য সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার কথা জানানো হয়েছে। বেসরকারি সংস্থায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সর্বত্র ৫০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে সমস্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিনোদন ও শিক্ষামূলক জমায়তেও রয়েছে। তবে ৫০ জনের জমায়েতের জন্য আগাম অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি রাজ্যে করোনা আবহে বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ব্যাঙ্ক খোলার ক্ষেত্রেও নয়া নিয়ম চালু করেছে রাজ্য সরকার। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে রাজ্যে ঢুকতে এবার থেকে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিমান যাতায়াত ও দূরপাল্লার বাসে নেগেটিভ কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি চালানো হবে এয়ারপোর্টগুলিতেও।
এক নজরে দেখে নেব কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে :-
১। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সকলকেই আবশ্যিক ভাবে মাস্ক পরতে হবে।
২। জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যে আসা সকলকে বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
৩। বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ সব লোকাল ট্রেন। দূরপাল্লার ট্রেন ও আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবায় কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। বিমানে যাতায়াতে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক। ৫০ শতাংশ কম চলবে বাস ও মেট্রো।
৪। বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।
৫। সবসময় খোলা অত্যাবশকীয় পণ্য বাজার, ওষুধ ও মুদির দোকান।
৬। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে ৪ ঘণ্টা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।
৭। গয়নার দোকান খোলা থাকবে বেলা ১২টা তেকে ৩টে পর্যন্ত।
৮। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে শপিং মল, জিম, রেস্তরাঁ, বার।
৯। সরকারি সংস্থায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফর্ম হোম করতে হবে।
১০। করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে বিশেষ ব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে মৃতদেহ ফেলে রাখা চলবে না।
Comments are closed.