দক্ষিণী মিউজিক মায়োস্টোর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আসমুদ্র হিমাচল
সুনাসীর চক্রবর্তী
দীর্ঘ ৫ দশক ধরে তাঁর সুরের জাদুতে বিভোর হয়েছিল আসমুদ্র হিমাচল। তিনি দক্ষিণী মিউজিক মায়োস্টো এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম। সেই সুর শুক্রবার দুপুরে চিরতরে থেমে গেল। জীবন-মরণ যুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে হার মানলেন ৭৪ বছরের এই সঙ্গীতশিল্পী।
অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত হন প্রবাদপ্রতীম এই সঙ্গীতশিল্পী। তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হলেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ১৩ অগস্ট পর্যন্ত সুস্থ ছিলেন তিনি। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এক মাসের বেশি সময় তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। ১৩ সেপ্টেম্বর করোনা মুক্ত হন তিনি। তবে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন শিল্পীর ছেলে এসপি চরণ মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী ও দুই সন্তান পল্লবী ও এসপি চরণ।
Pratibhashaali gayak,madhurbhashi ,bahut nek insan SP Balasubrahmanyam ji ke swargwas ki khabar sunke main bahut vyathit hun.Humne kai gaane saath gaaye,kai shows kiye.Sab baatein yaad aarahi hain.Ishwar unki aatma ko shanti de.Meri samvedanaayein unke pariwar ke saath hain.
— Lata Mangeshkar (@mangeshkarlata) September 25, 2020
এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম শুধু সঙ্গীতশিল্পীই নন, অভিনেতা, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন ভাষায় অন্তত ৪০ হাজার গান গেয়েছেন তিনি। শুধু তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, বলিউডে নিজের সঙ্গীত প্রতিভার নজির সৃষ্টি করেছিলেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম। মূলত নয়ের দশকে সলমন খানের লিপে গান মানেই তাঁর গলা। এমনই একটা মিথ তৈরি করে বলিউডে। এই সময় সলমনের লিপ আর এসপি-র প্লেব্যাক করা একটি গান জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছায়। ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া থেকে সাজন কিংবা হাম আপকে হ্যায় কৌন সবেতেই এই জুটির কামাল ধরা পড়েছে।ফলে বলিউড ভাইজান সলমনের কেরিয়ারে এসপি-র অবদান যে অপরিসীম তা একবাক্যে স্বীকার করা যায়। পরবর্তীতে অস্কার জয়ী সুরকার এ আর রহমানের পচ্ছন্দের শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম বা সকলের প্রিয় বালু।
#ripspb …Devastated pic.twitter.com/EO55pd648u
— A.R.Rahman #99Songs 😷 (@arrahman) September 25, 2020
সঙ্গীত জীবনে পেয়েছেন বহু পুরস্কারও। সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ৬ বার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তেলেগু সিনেমার নন্দি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ২৫ বার। এমনকী সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গান গাওয়ার বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ছিল তাঁরই দখলে। ২০০১ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১১-তে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হন তিনি।
মহান এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। পাশাপাশি শোকস্তব্ধ বলিউডও।
Comments are closed.