ফেরার মরিয়া লড়াই, কর্মী-সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশে জনজোয়ার। শহরজুড়ে লাল-তেরঙা-সবুজনীলসাদা পতাকা। জোটের জট না কাটলেও রবিবার ব্রিগেডে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিলেন আইএসএফের আবাস সিদ্দিকিও। প্যারোডি-ধামসা-মাদল থেকে উঠছে লালফৌজের উচ্ছ্বাস। বাম কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে ‘টুম্পা ব্রিগেড চল’ গান। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ব্রিগেডে হাজির বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন ব্রিগেডের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপির বি-টিম মমতার দলকে উৎখাত করব। আগামী নির্বাচনে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব। দরকার হলে রক্ত দিয়েও মাতৃভূমিকে স্বাধীন করব।” পাশাপাশি সিদ্দিকি আরও বলেন, “যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম।”
বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে চাকরির জন্য আওয়াজ তুললেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, “আমাদের লড়াই খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই। আমরা কাজ চাই, বিকল্প চাই। রাজ্যে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। কৃষিতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।”
ব্রিগেড থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি একযোগে মোদি-মমতাকে আক্রমণ করলেন। ইয়েচুরি বলেন, ”মোদি-দিদি আসলে এক। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই সামনে। লুঠপাট-জাতপাতের নয়, বাংলায় চাই জনহিতের সরকার।”
Comrade Biman Basu and Comrade @SitaramYechury head towards the stage.#PeoplesBrigade pic.twitter.com/JRsVYWN3Jn
— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) February 28, 2021
বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘মোদি-মমতার রাজনৈতিক ডিএনএ এক। ওরা চাইছে বাংলায় তৃণমূল-বিজেপি ছাড়া আর কিছু থাকবে না। আমরা বলছি আগামীতে তৃণমূল-বিজেপি নয়, শুধু সংযুক্ত মোর্চা থাকবে। আজকের সভা প্রমাণ করছে তৃণমূল-বিজেপির অপশক্তি বিদায় নেবে। সরকারের বদল এখন শুধু সময়য়ের অপেক্ষা।’’
এদিনের ব্রিগেডে সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআই নেতা ডি রাজা, রেভলিউশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টির (আরএসপি) সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল থাকলেও সবার নজরে ছিলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকি। ব্রিগেডে মধ্যমণি হয়ে রইলেন তিনিই।
Comments are closed.