অ্যাম্বুলেন্সেই করোনা আক্রান্ত তরুণীকে পাশবিক অত্যাচার, ধৃত চালক
নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে পাশবিক অত্যাচারের নিদর্শন কেরলে। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই ধর্ষণের শিকার বছর ১৯-এর করোনা আক্রান্ত এক তরুণী। হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে মাঝপথে একটি নির্জন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চালকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তিও করান ওই চালক।
হাসপাতালে ওই তরুণী চিকিৎসকদের পুরো ঘটনা জানালে সেখানেই তাঁর মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ২৯ বছর বয়সি ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম নৌফাল। সে পরিকল্পিত ভাবে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগেও খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক মামলায় অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কেরলের মর্মান্তিক এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে ইতিমধ্যেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় পাঠানমথিট্টার একটি পরিবারের দুই মহিলার কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সম্প্রতি কেরল সরকার এক নির্দেশিকায় জানায়, কোভিড রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করতে পারবেন শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের চালকই। সেই মতো শনিবার মধ্যরাত নাগাদ ওই পরিবারের দুই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যায় ওই চালক। প্রথমে এক জনকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর দ্বিতীয় মহিলাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘুরিয়ে রওনা দেয়। হঠাৎ আরানমুলা বিমানবন্দরের কাছে পরিত্যক্ত একটি এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে তরুণীর উপর শারীরিক অত্যাচার চালায় ওই চালক।
নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা তীব্র নিন্দা করেছেন এই ঘটনায়। দ্রুত চার্জশিট পেশ করার দাবি জানিয়ে কেরলের ডিজিপি-কে চিঠি লিখেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। অন্য দিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি।
পাঠানমিট্টার পুলিশ সুপার কেজি সিমন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে পরিকল্পিত ঘটনা। চালক অন্য পথে নিয়ে গিয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। আমরা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছি। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির আর্জি জানানো হবে।’’ আপাতত অভিযুক্তকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। সোমবার ভার্চুয়াল আদালতে পেশ করা হবে ধৃত চালককে।
ছবি ঋণ : ইন্টারনেট
Comments are closed.