মাত্র দশটা মাস অপেক্ষা করুন, হেমতাবাদে মমতার সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘এই বাংলায় খুনের রাজত্ব, ডাকাতির রাজত্ব এবং লুটের রাজত্ব চলছে। এর পরিবর্তন করতে হবে। আর মাত্র দশটা মাস অপেক্ষা করুন, যাদের জেলের ভাত খাওয়ার কথা তারা জেলের ভাত অবশ্যই খাবেন।’ হেমতাবাদের প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের স্মরণসভায় কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গত ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বালিয়ামোড় বাজার এলাকায় একটি বন্ধ মোবাইলের দোকানের সামনের বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বললেও প্রয়াত বিধায়কের পরিবার ও বিজেপির পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। এই ঘটনার প্রায় একমাস বাদে সোমবার প্রয়াত বিধায়কের বাড়িতে এসে সমবেদনা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কথা বললেন প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের সাথে।
এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হেমতাবাদে প্রয়াত বিধায়কের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী-সহ অন্যান্য নেতানেত্রীবৃন্দ।
এদিনের স্মরণসভা থেকে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘রাজ্যে এমন একটি সরকার চলছে যেখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, রাজনীতি করার অধিকার নেই, সরকার অন্যায় করলে তার সমালোচনা করার অধিকার নেই। এই ধরনের সরকার চলতে পারে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপিকর্মী ও কার্যকর্তাদের উপর অন্যায়ভাবে কেস চাপাচ্ছে। বহু বিজেপিকর্মী ঘরছাড়া হয়ে আছেন। এ রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের টাকা লুঠ করছে তৃণমূল নেতারা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে রেশন, মিড ডে মিলের টাকা সব লুট করছে এই সরকার। আর এভাবে বেশিদিন চলবে না। মাত্র দশমাস বাকি আছে, এরপর মানুষ এই সরকারকে বরখাস্ত করবে। তখন যাদের জেলের ভাত খাওয়ার কথা তারা জেলের ভাতই খাবেন। আজ হোক কাল হোক হিসাব হবেই।’
পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথ রায়কে হত্যা করা হয়েছে বলেও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। দুষ্কৃতী, পুলিশ এবং তৃণমুল যুক্ত রয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেননি। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে, আশা করব সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবেন সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে।’
Comments are closed.