‘নিশ্চয় সংবাদ কর্মসূচি’ থেকে বাংলায় বিধানসভা ভোটে প্রস্তুতির মন্ত্রদীক্ষা নিল জেডিইউ
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আর খুব বেশি দেরি নেই। করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের এই পরিস্থিতি কেটে গেলে বিধানসভা ভোটের জন্য সব রাজনৈতিক দল ঝাঁপিয়ে পড়বে। তৃণমূল, কংগ্রেস বিজেপি, বামেদের পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেডিইউ। সোমবার পটনার নিজের বাসভবন থেকে অনলাইনে ‘নিশ্চয় সংবাদ কর্মসূচি’তে বক্তব্য রাখেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম, তাদের যথাযথ সহায়তা, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি তপশিলি জাতি-উপজাতিদের সার্বিক কল্যাণের মতো তৃণমূল স্তরের ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে ভোটযুদ্ধে কৌশল তৈরি করছে নীতীশ কুমারের টিম বেঙ্গল।
এদিনের নিশ্চয় সংবাদ কর্মসূচিতে বন্যাদুর্গতদের প্রতিটি পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার কথা বলা হয়। এছাড়াও মহিলাদের পুলিশে ৩৫ শতাংশ চাকরি, গঙ্গা অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সমান বেতনের কথা বলা হয় এ দিনের কর্মসূচি থেকে।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও মধ্যবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় নিজেদের সংগঠন মজবুত করেছে নীতীশ কুমারের বঙ্গ ব্রিগেড। সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছেন দলের রাজ্য সভাপতি অশোক দাস। ১৯৭৭ থেকে প্রফুল্ল সেনের অনুগামী হিসেবে জনতা দলে যোগ দেন অশোক দাস। তখন থেকেই জনতা পার্টির হাত ধরে আজও জেডিইউ-এর সঙ্গে রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন প্রয়োজনে দলের সংগঠনের কাজে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়িয়ে দলের ভিত মজবুত করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিন নীতীশ কুমারের নিশ্চল সংবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ২৫ লক্ষ নেতাকর্মী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের কাজ তথা নীতীশ মডেল বঙ্গ ব্রিগেডের যুদ্ধজয়ের ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
Comments are closed.