করোনা বিধি উপেক্ষা করেই মহালয়ার তর্পণ গঙ্গার ঘাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনাকে উপেক্ষা করেই তর্পণ চলল গঙ্গার ঘাটে ঘাট। তবে মহালয়ায় যে চিত্রটা দেখা যায় তর্পণের সময় সেদিক দিয়ে দেখলে বলাই যায় এ বারের ভিড় যথেষ্ট কম। কলকাতার জাজেস ঘাট, বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট, নাজিরগঞ্জ-সহ বিভিন্ন ঘাটে দেখা গিয়েছে করোনা বিধি না মানার নিয়ম। একসঙ্গে মানুষের জমায়েত, গা ঘেঁষাঘেষি করে তর্পণ চলল গঙ্গায়। এককথায় ঘাটে ঘাটে তর্পণের ভিড়ে মানা গেল না করোনা সুরক্ষার দূরত্ব-বিধি।
এদিন কলকাতার ২৬টি ঘাটে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বড় দল মোতায়েন ছিল। এক সঙ্গে বেশি মানুষ যাতে ভিড় না-করেন তার জন্য লাগাতার প্রচার করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বারবার বলা হলেও অনেকেই তাতে ভ্রূক্ষেপ করেননি। কিছু কিছু ঘাটে ব্যারিকেড করে ধাপে ধাপে তর্পণের জন্য ছাড়া হয় লোকজনকে। নজরদারিতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন ক্যামেরাও।
গতকালই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তর্পণ নিয়ে কলকাতা পুলিশের দীর্ঘ এক আলোচনা হয়। এজন্য বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট ও জাজেস ঘাট-সহ শহরের ৯টি ঘাট পরিষ্কারও করা হয়। প্রতিটি ঘাটে একটি করে শিবির থাকার কথা ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। সেখান থেকেই পুলিশের তরফে বিনামূল্যে স্যানিটাইজার দেওয়ার কথা ঘোষণাও করা হয়। সেই ঘোষণা ঘোষণাই থেকে গেছে বহু জায়গায়। স্যানিটাইজারের দেখা মেলেনি বহু ঘাটেই।
তবে মহালয়ার তর্পণে এবার সমস্যা দেখা যায় পুরোহিতের অভাব নিয়েও। পুরোহিতের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকেন তর্পণ করতে আসা মানুষজনেরা। যেখানেই পুরোহিতকে দেখা গেছে তর্পণ করাচ্ছেন, সেখানেই জমে উঠেছে ভিড়। একপ্রকার পুরোহিতকে নিয়ে টানাটানির চিত্রটাই উঠে এল এদিনের তর্পণে।
Comments are closed.