‘সংহতি সমিতি বৃদ্ধাশ্রমে’র পাশে ‘ইচ্ছাশক্তি’র বাউন্ডুলেরা
শোভাঞ্জন দাশগুপ্ত
ইঁদুরদৌড়ের জীবনে আর নিউক্লিয়াস পরিবারে সুপ্রতিষ্ঠিত চাকুরে সন্তান থাকা সত্বেও বা পারিবারিক নানান চাপে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখার মতো কেউ থাকে না। আর এই নিঃসঙ্গ বাবা-মায়েদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের নানান স্থানে রয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। ২০২০ সালটা অন্য বছরের মতো শুরু হলেও ছন্দ কাটে করোনা মহামারীতে। গোটা দেশ, গোটা রাজ্য যখন কার্যত গৃহবন্দি তখন আমরা কি কখনও ভেবেছি বৃদ্ধাশ্রমের বাবা-মায়েদের কথা। কেমন আছেন লকডাউনে? শারদোৎসবেই বা তাঁরা কেমন আছে? সেই ভাবনা থেকেই ‘ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশন’ গত ১৮ অক্টোবর পৌঁছে গেছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছির ‘সুলতানপুর সংহতি সমিতি বৃদ্ধাশ্রম’-এ।
করোনার অতিমারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশন’-এর বাউন্ডুলেরা ‘সুলতানপুর সংহতি সমিতি বৃদ্ধাশ্রম’-এর পরিচালক লিলি দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাজির হন বৃদ্ধাশ্রমে। কর্ণধার ও পরিচালক লিলি দত্ত একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৮ সাল থেকে এই বৃদ্ধাশ্রম চালাচ্ছেন। সামান্য অনুদান এবং নিজে অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী হওয়ায় লিলি দত্ত তাঁর পেনশনের টাকা খরচ করে ২০ জন বৃদ্ধার পরিচর্যা করে চলেছেন। ইচ্ছাশক্তির বাউন্ডুলেরা বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের সঙ্গে একটি দিন সময় কাটালেন। মায়েদের হাতে তুলে দিলেন নতুন পোশাক। এছাড়াও ফল, শুকনো খাবার আর অতি প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ও মাস্ক দিলেন তাঁদের হাতে। ১৮ অক্টোবর বৃদ্ধা মায়েরা ইচ্ছাশক্তির সদস্যদের আপন করে নিলেন কয়েক মিনিটে, যেন কত দিনের পরিচিতি।
Comments are closed.