সুন্দরবনের বানভাসিদের পাশে ‘ঐক্যতান’ ও ‘একটি প্রযোজনা’
নিজস্ব সংবাদদাতা: ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটিতে বিধ্বস্ত এইসব অঞ্চলের মানুষজন। তারা আজ বড় অসহায়। বহু মানুষ আজ ঘরছাড়া। সরকার তাদের বাসস্থান ও খাবারের যথাসাধ্য বন্দোবস্ত করে চলেছে নিরন্তর। তবুও এরই মাঝে কিছু স্বহৃদয় মানুষ তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে অগ্রসর হয়।তেমনই বসিরহাটের ‘একটি প্রযোজনা’ এবং কলকাতার ‘ঐক্যতান’ এই দুটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এই কর্মে যোগদান করেন।
ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাট হাটখোলায় ৬ জুন এই দুটি দল পৌঁছে যান। ন্যাজাটে ‘সুন্দরবন নাট্য উৎসব কমিটি’ এই কর্মকাণ্ডে তাদের সহায়তা করেন। সন্দেশখালির পাটনিপাড়া, ঢোলপাড়া ও সরকারপাড়ার প্রায় ১২৫টি পরিবারকে শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেন।
তবে এখানেই ‘একটি প্রযোজনা” এবং ‘ঐকতান’-এর কর্মকাণ্ডের শেষ হয়না। নৌপথে তারা পাড়ি দেয় ন্যাজাট-২ এর বানতলা গ্রামে। সেখানে নিরন্ন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে তারা পৌঁছে যায়। প্রায় ৫৫০-৫৬০ জনের একবেলার খাবার ও পানীয় জল দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তাদের হাতে তুলে দেয়। ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাদের প্রিয় খাবার চকলেট বিতরণও করেন।
‘একটি প্রযোজনা’র কর্ণধার ভাস্কর পাল বলেন, “সকলের সহায়তা নিয়ে এই মানুষগুলোর পাশে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা ‘একটি প্রযোজনা’ ও ‘ঐকতান’-এর সকল সদস্য ভীষণ খুশি। আমরা আরও অর্থ জোগাড় করার চেষ্টা করব যাতে আবারও এই মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়াতে পারি।” ‘ঐক্যতান’-এর কর্ণধার সমাপ্তি ঘোষ বলেন, “আমরা সকলেই যদি এভাবে এই মানুষগুলোর পাশে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি তবে মানুষগুলো দুর্দিনে অন্নাভাবে কষ্ট পাবে না।” এই দুটি দল তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড কোভিড স্বাস্থ্যবিধিকে যথাযথভাবে মান্য করে সম্পন্ন করে।
Comments are closed.