Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

করোনা ত্রাসে কিছুটা থমকে হলদিয়া লাগোয়া গ্রামের কোজাগরী আরাধনা

নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপূজার মতো লক্ষ্মী পুজোতেও ছাপ ফেলল করোনা। এবার লক্ষ্মী পুজো করোনা আবহে একেবারেই ম্লান। তাই বিষাদ মনেই গৃহস্থের ঘরে ঘরে চলছে কোজাগরী আরাধনার প্রস্তুতি।শিল্পশহর হলদিয়া থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত দুটি গ্ৰাম কিসমত শিবরাম নগর ও চাউলখোলা। ওই দুই গ্ৰামে দুর্গাপুজো হয় না। তাই শারদোৎসবের কয়েকটা দিন কাটিয়ে দুই গ্ৰামের মানুষ অপেক্ষা করে থাকে লক্ষ্মী পুজোর জন‍্য। দুর্গা পুজোর আনন্দ লক্ষ্মী পুজোয় কাটিয়ে নেয়।

ঐতিহ্য, আড়ম্বর, থিম থেকে সাবেকিয়ানা কোনও কিছুই বাদ পড়ে না হলদিয়ার কিসমত শিবরাম নগর ও চাউলখোলা গ্ৰামের লক্ষ্মী আরাধনায়।কিন্তু এবার করোনার জেরে ছবিটা একেবারেই অন‍্যরকম। জৌলুস, জাঁকজমক নেই, কেবল নামমাত্র পুজো করছে উদ‍্যোক্তারা। দুই গ্ৰামে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাত থেকে আটটি পুজো হয়। এর মধ‍্যে পাঁচটি বিগ বাজেটের পুজো। প্রত‍্যেক বছর পুজো উপলক্ষে তিন-চার দিনব‍্যাপী মেলা বসে। আশপাশের গ্ৰামের গ্ৰাম ছাড়িয়ে ভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ আসেন পুজো দেখতে। কিন্তু এবার লক্ষ্মী বন্দনায় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।

- Sponsored -

পুজো উদ‍্যোক্তাদের কথায় করোনা ও লকডাউনের জোড়া ধাক্কায় পুজোর বাজেট একাধিক কাঁটছাঁট ক‍রা হয়েছে। গতবছর যা বাজেট ছিল এবার তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।কিসমত শিবরাম নগর বিনয়ী সংঘ এই এলাকায় বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ‍্যে অন‍্যতম। এবার ৬৪ তম বর্ষে তাদের নামমাত্র পুজো হচ্ছে বলে জানান উদ‍্যোক্তা শম্ভু ভৌমিক।করোনা আবহে সকলের আর্থিক অবস্থা খারাপ।অন‍্যান‍্য বছর যেখানে থিমের মণ্ডপ তৈরি করা হয়, এবছর সেখানে নিয়মরক্ষার পুজো করা হচ্ছে। সমন্বয় ক্লাবের তরফে গৌতম মান্না বলেন পুজোর পাশাপাশি ক‍্যুইজ, বির্তক, সংবাদপাঠের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর সবকিছুই বন্ধ। তবে প্রশাসনের বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করছে সমস্ত পুজোকমিটিগুলি‌। জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর।

চাউলখোলা অগ্ৰণী সংঘের সম্পাদক এবং হলদিয়া ব্লকের মৎস‍্য ও প্রাণী কর্মাধক্ষ‍্য গোকুল চন্দ্র মাঝি বলেন করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রশাসনের নির্দেশ মতো পুজো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমস্ত পুজো মণ্ডপের সামনে থাকলে মাস্ক বিতরণ ও স‍্যানিটাইজারের ব‍্যবস্থা।স্থানীয় বাসিন্দা একাদশী বেরা বলেন আমাদের গ্ৰামের বড় উৎসব কোজাগরী উৎসব। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্ৰামে বিগ বাজেটের পুজো হয়ে আসছে। এবার করোনার জেরে সব শেষ। বছরের এই তিন-চারদিন আনন্দে মেতে ওঠে দুই গ্ৰামের মানুষ। কিন্তু এবার করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছুই। ফলে আনন্দ উচ্ছ্বাস নেই। সবকিছুতেই কার্যত ভাটা পড়েছে।

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.