হিমবাহ ভেঙে তুষারধস চমোলিতে! কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল উত্তরাখণ্ডে
নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধস। হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামল চমোলি জেলায়। রবিবার সকালে আট বছর আগের কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে এল উত্তরাখণ্ডে। প্রবল জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হৃষিগঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ইতিমধ্যেই রাজ্যের চার জেলায় জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্কতা। ইতিমধ্যেই ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আশঙ্কা, বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন ধসের কবলে পড়ে। ধসের কারণে ভাঙন ধরেছে ধৌলিগঙ্গা নদীর বাঁধে। ধৌলিগঙ্গার জলস্তর দ্রুত বাড়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে বলে খবর। অলকানন্দায় নিচু এলাকাও জলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে ভাগিরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে আইটিবিপি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ জওয়ানদের।
Nanda Devi glacier broke off in Chamoli district of #Uttarakhand Sunday morning.Damaged a dam on Alaknanda river. Rise in water level in river. Reports of loss awaited. @IndianExpress pic.twitter.com/J0UoBoIJEe
— Lalmani Verma (@LalmaniVerma838) February 7, 2021
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নজর রাখছি গোটা ঘটনার উপর– আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করছি কোনও পুরানো ভিডিয়ো শেয়ার করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেবেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন সকলের পদক্ষেপ। ধৈর্য রাখুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে আমাদের হাত বাঁধা’। ইতিমধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল – +৯১১৩৫২৪১০১৯৭, ৯১১৩৫২৪১০১৯৭ এবং +৯১৯৪৫৬৫৯৬১৯০।
#WATCH | Water level in Dhauliganga river rises suddenly following avalanche near a power project at Raini village in Tapovan area of Chamoli district. #Uttarakhand pic.twitter.com/syiokujhns
— ANI (@ANI) February 7, 2021
ধৌলিগঙ্গা এলাকায় জোশীমঠের কাছে রেইনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রেইনির তপোবন এলাকায় বাঁধ ভাঙা জলের তোড়ে গঙ্গার দু’পাশের বাড়িঘর তীব্র গতিতে ভেঙে এগোচ্ছে। ভয়াবহ তুষারধস নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইটিবিপি ও এনডিআরএফের ডিজিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ করছেন। এনডিআরএফ দলগুলি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে।”
Comments are closed.