মালদায় আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ, বোনকে হেনস্থা! খবর শুনে মৃত মা
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ ও হেনস্থার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পাশবিক ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও শুরু তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই দুই আদিবাসী তরুণী। দুটি মোটরবাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা পথ আটকায় তাঁদের। এরপর দুই বোনকে তুলে নিয়ে যায় পাশের একটি পুকুর পাড়ে। সেখানে বড় বোনকে গণধর্ষণ এবং অন্যজনকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। দুই তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তবে একজনকে এলাকাবাসীরা ধরে ফেলে খবর দেয় হবিবপুর থানায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। এরপর ওই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসীরা।
জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘হবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা অঞ্চলের একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুই বোনকে তুলে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জানা গিয়েছে ছোট বোনকে হেনস্থা করা হয়েছে। বড় বোনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মেডিক্যাল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এদিকে মেয়ের ধর্ষণের খবর শুনে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। বুধবার দুই বোনকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের মা। তড়িঘড়ি স্থানীয় বুলবুলচণ্ডী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদা মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান ওই মহিলার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
নির্যাতিতা তরুণীর দাবি, ‘অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাইছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, ‘তদন্ত এখনও চলছে। ৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি ৫ জন এই ঘটনায় যুক্ত ছিল। ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এটা গণধর্ষণের ঘটনা। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছি। সেখান থেকে প্রমাণ পেয়েছি যে ঘটনাটা হয়েছে।’
Comments are closed.