বিধি মেনে গণেশপুজো সব্যসাচীর

শুভাশিস মণ্ডল
সল্টলেক সুইমিং পুলে (BFCF block) অবশেষে হল চলতি বছরের গণেশপুজো। ফি বছর ধরে রাজ্যের অন্যতম গণেশপুজো হয়ে আসছে মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে। করোনা আবহে কোভিডবিধি মেনে এবার জাঁকজমক কাটছাঁট হলেও নিয়মনীতির কোনও খামতি ছিল না গণেশ চতুর্থীর পুজোয়। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। ধূমধাম করে না হলেও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত, সমাজসেবী ইন্দ্রাণী দত্ত-সহ খুবই অল্পসংখ্যক মানুষজনেরা। পুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

সপ্তমবর্ষের গণেশ পুজো তবুও খুব সহজে হল না মৈত্রী সংঘে। করোনা আবহে পুজো করা যাবে না, প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি ছিল বিধাননগর উত্তর থানার। এমনই অভিযোগ মৈত্রী সংঘের। সিদ্ধিবিনায়কের পুজো বন্ধের এহেন নিদানে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সব্যসাচী দত্ত। নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে পুজোয় সবুজ সংকেত দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর একে একে বিধাননগর পুরসভা, দমকল অনুমতি দিলেও তবুও পুজোয় টালবাহনা করে উত্তর থানা।

সব্যসাচী দত্তের কথায়, ‘আদালতের কপি হাতে পাওয়ার পর বিদ্যুৎ দফতরের কোটেশন, বিধাননগর পুরনিগম ও দমকল বিভাগের অনুমোদন এবং তার সঙ্গে আদালতের রায়ের কপি বিধাননগর উত্তর থানায় জমা দিতে গিয়েছিলাম। তারা সেটি জমা নেয়নি। তারপর বিধাননগর কমিশনারেটে ইমেল করে সেটি পাঠানো হয়েছে।’ শেষমেশ ২২-২৪ তারিখ পর্যন্ত পুজোর অনুমোদন দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটও।
পুজোর উদ্বোধন করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছেন, ‘এখানে পুজো বেশ বিশাল ভাবে হয়। কোভিড প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে পুজো ছোট করে হচ্ছে। আমি এখানে বহুবার এসেছি। আমার একটা অন্য অনুভূতি আছে। আজ আমি এখানে এসেছি গণেশজির পায়ে নতমস্তকে প্রণাম জানানোর জন্য।’
মৈত্রী সংঘের পুজোর জটিলতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত বক্রোক্তি করতেও ছাড়লেন না এদিন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন সবটাই অনুপ্রেরণা। আমাদের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা সেরকম ভাবে পড়েনি। অনুপ্রেরণার আশীর্বাদ পড়েনি বলেই হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হয়েছে। সিদ্ধিদাতা গণেশও রাজনীতির হাত থেকে রেহাই পেলেন না। এটাই পশ্চিমবঙ্গের অনুপ্রেরণা।’
Comments are closed.