Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

রাজ্যগুলিকে সুদমুক্ত ৫০ বছরের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে কেন্দ্র

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি

রাজ্যগুলিকে সুদমুক্ত ৫০ বছরের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা বিশেষ মূলধনী খরচ হিসেবে ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার ৪৩তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

- Sponsored -

জিএসটি ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে রাজ্যগুলি। কেন্দ্রের তরফে বাজার থেকে ধার বা ঋণ নেওয়াকে বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্য। এদিন ৪৩তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “পরিকাঠামো এবং সম্পদ তৈরিতে অর্থ খরচের অনেকগুলি প্রভাব রয়েছে। এটি শুধুমাত্র বর্তমান জিডিপিই নয়, ভবিষ্যতেও জিডিপি বৃদ্ধিতে কাজে আসবে। আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রে মূলধন খরচে নতুন গতি দিতে চাই।” অর্থমন্ত্রীর কথায়, “মূলধন খরচের জন্য আমরা ৫০ বছরের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ সুদমুক্ত ঋণ ব্যবহার করছি। তিন ভাগে এই অর্থ প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ে উত্তর-পূর্বর প্রতিটি রাজ্যের জন্যে ২০০ কোটি টাকা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে, দ্বিতীয় পর্বে বাকি রাজ্যগুলির জন্য ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে, যে সমস্ত রাজ্য ‘আত্মনির্ভর ভারত’ রাজস্ব ঘাটতির চারটের মধ্যে তিনটি সংস্কার পূর্ণ করতে পেরেছে, তাদের ২০০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে।”। অর্থমন্ত্রী জানান, প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বে দেওয়া সুদমুক্ত ঋণের অর্থ ২০২১-এর ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে, যার ৫০ শতাংশ এখন দেওয়া হবে এবং সেই অর্থের ব্যবহার অনুযায়ী পরবর্তী অর্থ প্রদান করা হবে।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের মূলধন খরচ হিসেবে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাজেটের ঘোষণা করেন। এই অর্থ খরচ হবে রাস্তা, প্রতিরক্ষা, পরিকাঠামো, জল সরবরাহ, নগরোন্নয়ন, দেশে তৈরি হওয়া সম্পদ তৈরির জন্য। অর্থমন্ত্রী বলেন, “আজকের সমাধান, আগামীর সমস্যা হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্রীয় সরকার মনে রেখেছে যে, চাহিদা বাড়াতে যে পদক্ষেপ করা হবে, যেন ভবিষ্যতে দেশের মানুষের মুদ্রাস্ফীতির বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, বা সরকারকে ব্যাপক বোঝা নিয়ে ঋণ না নিতে হয়। আজকের পদক্ষেপ অনুযায়ী যদি চাহিদা বাড়ে, তা করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে চাহিদার সন্ধান করবে।”

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.