Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব দিলীপ ঘোষ

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি

দেশের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা। তবে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এমনই অভিযোগ তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যদিও সেখানে হাতরাসের ঘটনার প্রসঙ্গ তোলা হয়নি বলে সূত্রের খবর। তবে দিল্লি পুলিশের কাজের প্রশংসা করা হয়েছে এদিনের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের রাজ্যে মহিলাদের ধর্ষণ করা হলে এফআইআর নেওয়া হয় না। রোজ মহিলাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে, তার কোনও বিচার বা তদন্ত হয় না। এই সমস্ত পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছে। একইসঙ্গে সারা দেশে যে মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচার এবং পাচার ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে।”

- Sponsored -

নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়্গহস্ত বিজেপি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্বেও রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কেন বিচার হয় না, বা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় না, সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। হাতরাসের ঘটনার সময় সে রাজ্যে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।

এদিনের বৈঠকে হাতরাসের ঘটনা নিয়ে কোনও আলোচনা না হলেও, সেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদাসীন থাকার অভিযোগে সরব পদ্ম শিবির। রাজ্যের চারদিকে রয়েছে সীমান্ত। বনঁগা-বসিরহাট বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে, সেখানে গরু পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র একাধিকবার বাকযুদ্ধ হয়েছে। রাজ্যের তরফে বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। মঙ্গলবারই গরু পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিএসএফের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কোন এজেন্সি তদন্ত করছে সেটা বড় কথা নয়। গরু পাচার হচ্ছে, সেখান থেকে আসা টাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজ হচ্ছে। রাজনীতিতে গুন্ডাগিরির কাজে লাগানো হচ্ছে এই অর্থ। তারসঙ্গে রয়েছে বালি খাদান, পাথর খাদান থেকে পাচার হওয়া টাকা। সেটা সবার জানা। আজ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো সক্রিয় হওয়ায় মাথাগুলো ধরা পড়েছে। ধীরে ধীরে অনেকদূর পর্যন্ত হাত যাবে।”

শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত, মিহির গোস্বামী– দলে বিদ্রোহের তালিকা ক্রমশই বড় হচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ যে, তৃণমূলের হয়ে বামেদের বিরুদ্ধে মেরুদণ্ড শক্ত করে তাঁরা লড়াই চালিয়ে রাজ্যে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক বদল হয়েছে। সঠিকভাবে কেউ কোনও দিকে আঙুল তুললেও অনেকেই নাম না করে পিকের টিম, আবার কেউ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিদ্রোহী নেতারা দলে শ্বাস নিতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন।

এদিকে, অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তিনি ঘুরছেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে কি সেই সিলিন্ডার শুভেন্দু অধিকারীর জন্যও বরাদ্দ? স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এদিন দিলীপ ঘোষের উত্তর, “যাঁরা যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিজেপিতে আসতে চান, সবাইকে আহ্বান করছি।”

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.