নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি ও আড়িপাতার অভিযোগ তুললেন দিলীপ ঘোষ
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বিজেপির নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। এখানেই থেমে না থেকে তাঁর আরও অভিযোগ, দলের নেতাকর্মীদের ফোনও আড়িপাতা হচ্ছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে একাধিকবার আবেদন করলেও কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকারের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয় না, শুধু বিভিন্ন দফতরে ঘোরানো হয়।” নজরদারি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “পুলিশ কেবল আমাদের ওপর নজরদারি করে, সুরক্ষা দেয় না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “পুলিশের সামনেই আমাদের দলের নেতাকর্মী খুন হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছে, অথচ তারা কিছুই করছে না। তারা শুধুমাত্র রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল নেতৃত্বের চর হিসেবে কাজ করছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোনও অন্যায় বা অনিয়মের প্রতিবাদ করে না পুলিশ। তাঁর কথায়, “শুধুমাত্র বিজেপিকে আটকানো এবং তাদের ওপর নজরদারি চালানোই পুলিশের একমাত্র কাজ হয়ে উঠেছে।”
নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে রবিবার রাজভবন থেকেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
পাশাপাশি এদিন আমফান দুর্নীতি নিয়েও সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার নয়াদিল্লিতে সাউথ অ্যাভিনিউ-এর বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর আমফান বার্তাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই আমফান দুর্নীতি হয়েছে। এগুলো শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের সামনে বলার জন্যই বলা হয়েছে।” দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “তৃণমূল নেতাদের ইঙ্গিতে এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত কতজনকে বহিষ্কার বা এফআইআর করা হয়েছে?” টাকা ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, লক্ষাধিক ব্যক্তিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। “কতজনের থেকে টাকা ফেরত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী?”
Comments are closed.