বিধ্বংসী মায়াঙ্ক! কাজে এল না লড়াই, সুপার ওভারে জয়ী দিল্লি
সৌরভ রায়
অবিশ্বাস্য মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বুক চিতিয়ে অপ্রাণ লড়াই করে, জয় নিশ্চিত করেও পারলেন না। ড্র ম্যাচে সুপার ওভারে জয় হাতছাড়া কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। কাজে এল মায়াঙ্কের ৬০ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিং। মায়াঙ্কের ইনিংস ৭টি চার ও ৪টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল। তবে ১৩ তম আইপিএলের প্রথম সুপার ওভার হয় এদিন। শেষ ওভারে অনায়াসে ম্যাচ জেতার সুযোগ থাকলেও পারল না কেএল রাহুলের দল। মার্কাস স্টোয়েনিসের বলে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগারওয়াল। এরপর শেষ বলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ১ রান দরকার ছিল। সেখানেই শেষ বলে ক্রিস জর্ডন ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শেষ ওভারে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন স্টোইনিস।
মার্কাস স্টোয়েনিসের বলে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগারওয়াল। এরপর শেষ বলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ১ রান দরকার ছিল। সেখানেই শেষ বলে ক্রিস জর্ডন ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শেষ ওভারে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন স্টোইনিস। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাব ১৫৭ রান তুললে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। সুপার ওভারে এরপর দিল্লির হয়ে নায়ক কাগিসো রাবাদা। দিল্লির হয়ে অতীতে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নিজের কাঁধে দলকে সুপার ওভারে জিতিয়েছিলেন রাবাদা। এবার ২০২০ আইপিএলের নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুপার ওভারে দুরন্ত বোলিং করলেন রাবাদা।সুপার ওভারে রাবাদা মাত্র ২ রান খরচ করে। লোকেশ রাহুলকে ২ ও পুরানকে ১ রানে আউট করেন রাবাদা। ২টি উইকেট নিয়ে সুপার ওভারে দিল্লির হয়ে অনবদ্য বোলিং রাবাদার। ম্যাচ জিততে সুপার ওভারে দিল্লিকে ৩ রান করতে হত। পন্থ ও শ্রেয়স আইয়ার ২ বলেই সেই রান সম্পূর্ণ করেন। ফলে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দুরন্ত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।
উল্লেখ্য এর আগে এদিন একদিকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে আইপিএল কেরিয়ারের সেরা বোলিং করেন মহম্মদ শামি। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২১ বলে ৫৩ রান মার্কাস স্টোয়েনিসের। আইপিএলে এদিন কেরিয়ার সেরা বোলিং করলেন মহম্মদ শামি। এর আগে ২১ রানে ৩ উইকেট শামির সেরা বোলিং ছিল। ২০১৯ সালে এই বোলিং ফিগার তৈরির পর আজ নিজের রেকর্ড ভেঙে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে শামি এদিন ১৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন। দিল্লির ওপেনার পৃথ্বী শ, মিডল অর্ডারের সিমরন হেটমায়ার ও শ্রেয়স আইয়ারকে তুলে নেন শামি। দিল্লির টপ ও মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরিয়ে বল হাতে পঞ্জাবকে দলের জন্য ভিত গড়ে দেন। ৩টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি অশ্বিনের ক্যাচ নিয়েছেন শামি।
এদিন টসে জিতে বোলিং সহায়ক উইকেটে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক কেএল রাহুল। শুরু থেকে উইকেট হারিয়ে ধরাশায়ী দিল্লি ক্যাপিটালস। পৃথ্বীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ওপেনার শিখর ধাওয়ান রান আউট হয়ে ফেরেন। পৃথ্বীও বড় রান পেলেন না। ৫ রানে উইকেট ছুুড়ে দিয়ে আউট হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। হেটমায়ারও আশাহত করেন। বাঁ-হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ মাত্র ৭। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ৩৯ ও ঋষভ পন্থ ৩১ রান হাঁকিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। শেষদিকে অবশ্য বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে ১৫৭ রানে পৌঁছে দেন স্টোয়েনিস। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৫৩ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার।
Comments are closed.