কর্মসমিতির বৈঠকে রাজ্য সরকারকে তোপ জেপি নাড্ডার, পাল্টা জবাব ডেরেক ও’ব্রায়েনের
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
আয়ুষ্মান ভারত বা পিএমকিসান প্রকল্পের সুবিধা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এছাড়াও নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলে দিয়ে সেগুলিকে নিজের প্রকল্প হিসেবে চালাতে চাইছেন বলে রাজ্য কর্মসমিতির ভার্চুয়াল বৈঠকে তোপ দেগে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
জেপি নাড্ডার এই অভিযোগের পর চুপ করে বসে থাকেনি তৃণমূলও। নাড্ডার বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সাংবাদিক সম্মেলনে রেশন কার্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয় খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়। তিনি জানান করোনার কারণে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া চালু হয়েছে এবং তা ২০২১-এর জুন পর্যন্ত চলবে।
#FactCheck exposes speech on Bengal by BJP national president
Read 👇 pic.twitter.com/QTkGRFhIP7
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) September 10, 2020
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়নের অভিযোগ ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার চালু করা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের বিকল্প। তাঁর মতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সাড়ে সাত লক্ষ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয় এবং এটি শুধুমাত্র একটি রাজ্যে চালু আছে। তাঁর অভিযোগ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের দেওয়া সাড়ে ১২ কোটি ই-কার্ডের মধ্যে ৪.৬ কোটি রাজ্য সরকারের কার্ড। রাজ্য সরকারের যে কোনও ভালো কাজের কৃতিত্ব নিয়ে নিতে প্রচণ্ড আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারা নিজেদের ব্যর্থতার দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপায়। ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন রাজ্য সরকারকে তাদের কাজ করতে দিন কেন্দ্র এবং তারাও তাদের নিজেদের কাজ করুক।
পাশাপাশি এইমস (aiims)-এর জন্য রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তিনি জানান ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন রায়গঞ্জে কৃষিজমি থাকার কারণে সেখানে সমস্যা রয়েছে। তবে এইমস করার ব্যাপারে আদর্শ জায়গা কল্যাণী। চাইলে সেই চিঠি বিজেপি সভাপতিকে মেইল করে পাঠাতে পারেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এই তৃণমূল নেতা। কল্যাণীতে এইমস-এর জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে ১৮০ একর জমি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এনএইচ ৩৪ থেকে এইমস পর্যন্ত ৪১ কোটি টাকা খরচ করে চার লেনের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ১১ কোটি টাকা খরচে সেখানে স্থায়ী বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং ১১৬ কোটি টাকা খরচে ২৪ ঘণ্টা জলের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা দ্রুত মেটানোর দাবিও জানান ডেরেক ও’ব্রায়েন।
Comments are closed.