লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন না হওয়ায় কেন্দ্রকে তোপ ডেরেকের
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
প্রশ্নোত্তর পর্ব না রাখা এবং লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদে এখনও পর্যন্ত কাউকে নির্বাচিত না করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ব্যক্তিগত ব্লগে তিনি লেখেন, ডেপুটি স্পিকার পদ শুধুমাত্র সাধারণ একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। লোকসভায় যখন অধ্যক্ষ থাকেন না তখন সেই কাজটি করেন উপাধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পিকার। সংবিধানের ৯৩ নম্বর ধারায় সংসদের দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে অধ্যক্ষ এবং আরেকজনকে উপাধ্যক্ষ করতে বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব।
ব্যক্তিগত ব্লগে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, সাধারণভাবে লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের নেতা উপাধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পিকার হন। উদাহরণ তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালে ষষ্ঠ লোকসভায় এই পদ বিরোধী দলের নেতাকে দিতে চেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। সেই সময় কংগ্রেস নেতা গডে মুরাহরি লোকসভার ডেপুটি স্পিকার হন। আবার ১৯৯৮ সালের উদাহরণ তুলে ধরে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার বিজেপির রীতা ভার্মাকে উপাধ্যক্ষ করতে চেয়েছিল যদিও কংগ্রেসের দাবি ছিল লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ পিএম সঈদ। সেই সময় জট কাটাতে হস্তক্ষেপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন সাময়িকভাবে বাতিল করে পরে লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ ওই পদে বসেন। ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ প্রশ্নোত্তর পর্ব না রাখা, জিরো আওয়ারের সময়সীমা ৬০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৩০ মিনিট করা-সহ বিভিন্ন নিয়মাবলী কাটছাঁট করে প্রতিষ্ঠান মর্যাদা খর্ব করছে এই অহংকারী সরকার। ৪৫০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার পদে কাউকে নির্বাচিত করা হয়নি। ১৯৫২ থেকে কখনও এমনটা হয়নি।
Comments are closed.