মেদিনীপুরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক কার্যালয়ে এবিটিএ-র ডেপুটেশন

নিজস্ব সংবাদদাতা : শিক্ষাসংক্রান্ত ১৮ দফা দাবিতে রাজপথে নেমে আবারও সোচ্চার হল বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)। মঙ্গলবার দুপুরে এবিটিএ-র উদ্যোগে মেদিনীপুরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের এবিটিএ জেলা দফতর গোলোকপতি ভবন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা মিছিল শুরু করে বিদ্যাসাগর মোড়, ক্ষুদিরাম মোড়, বিএড কলেজ রোড হয়ে কেরানিটোলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক কার্যালয়ে যান।
প্রধান প্রধান যে যে দাবিতে এদিনের ডেপুটেশন তা হল, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গণতান্ত্রিক ও বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনা, করোনা আবহে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ কমপক্ষে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা এবং পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন ও অভীক্ষার বিজ্ঞানসম্মত নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত কর্মশালার ব্যবস্থা করা, ২০২১-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি ঘোষণা করা, বাণিজ্যমুখী নয়া কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি বাতিল করা, শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়া করণ ও বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করা-সহ মোট ১৮ দফা দাবিতে এদিনের ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ সভাও হয় এদিন। সেই সভায় ডেপুটেশনের সার্বিক বিষয়বস্তু উত্থাপন করেন এবিটিএ-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বিপদতারণ ঘোষ, সভায় বক্তব্য রাখেন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন, শিক্ষক নেতৃত্ব ব্যোমকেশ দাস প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিকাশ পট্টনায়েক। সভাচলাকীন পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দাবি সনদ পেশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিপদতারণ ঘোষ, ব্যোমকেশ দাস, মল্লিকা সান্যাল, রানা ভট্টাচার্য, পাপিয়া চৌধুরী প্রমুখ। আঞ্চলিক অধিকর্তা বিষয়গুলো তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে শিক্ষক নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করেন। ডেপুটেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী এদিনের প্রতিনিধি মূলক ডেপুটেশনে অংশ নেন।
Comments are closed.