Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

‘রঙিন জলে মেশানো ছিল কোভিড ভাইরাস’! অভিযোগ বিজেপির

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি

বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন ঘেরাও অভিযানে পুলিশ যে রঙিন জল প্রয়োগ করেছিল, তাতে কোভিড ভাইরাস মেশানো ছিল বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপির প্রতিনিধি দল।

৮ অক্টোবর নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে শহরের রাজপথে নেমেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। হাজির ছিলেন জাতীয় যুব মোর্চা সভাপতি তেজস্বী সূর্য, রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-সহ যুব মোর্চার নেতারা। তবে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ধস্তাধস্তি হয় যুব মোর্চার নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি ব্যাপক আকার নিলে জলকামান ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। কামানের জলে যুব মোর্চার নেতাকর্মীদের পোশাক রঙিন হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। যুব রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রঙিন জলে করোনা বা কোভিড ভাইরাস মেশানো ছিল, তা প্রয়োগ করে বিজেপির নেতাকর্মীদের মারার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। সেই অভিযোগ তুলে এদিন দিল্লিতে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সঙ্গে দেখা করল স্বপন দাশগুপ্তের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁও।

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, “যে রঙিন জল প্রয়োগ করা হয়েছে, একজন সাংসদ এবং যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে বলছি, তাতে কোভিড ভাইরাস মেশানো ছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তা করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার।”জল গায়ে লাগার কারণে বিজেপির কয়েকজন রাজ্যনেতা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন মানবাধিকার কমিশনে দেখা করে ঘটনার তদন্তের দাবি করেন সৌমিত্র খাঁ।

- Sponsored -

নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে বলবিন্দর সিং নামে এক শিখব্যক্তির পাগড়ি খোলার ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। এই নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে বিক্ষোভ করেছে বিজেপি। এদিন সৌমিত্র খাঁর দাবি, “বলবিন্দর সিংয়ের কাছে যে অস্ত্র ছিল তা বেআইনি নয়, সেটির ছিল ন্যাশনাল পারমিট।”যে পুলিশকর্মী বলবিন্দর সিংকে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন, তাঁকে সেই অভিযোগ প্রমাণ করারও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন যুব মোর্চা সভাপতি।

দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের অভিযোগ, সেদিনের জলকামান থেকে যে রঙিন জল মেশানো প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমরা দু’-তিনটে বিষয় মানবাধিকার কমিশনে তুলে ধরেছি… আশাকরি খুব দ্রুত তারা হাওড়া এবং কলকাতায় গিয়ে সরজমিনে অসুস্থদের খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।”

শুধুমাত্র মানবধিকার কমিশনেই নয়, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

সব মিলিয়ে নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে “অমানবিক আচরণ”এবং বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খোলাকে হাতিয়ার করে ঘাসফুলে কাঁটা বিঁধতে মরিয়া পদ্ম ব্রিগেড

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.